মিয়ানমারে নতুন করে সংঘাতে সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ায় খুন হয়েছেন এক রোহিঙ্গা।
নিহত মোহাম্মদ জলিল (৩৫) উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ/৩ বক্লের কামাল হোসেনের ছেলে।
জলিল রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের সহ অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল সকাল সন্ধ্যাকে জানান, সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ৪ নম্বর ক্যাম্পের এফ ব্লকে এসে ১৫-২০ অস্ত্রধারী তিনজন রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। তার মধ্যে জলিলকে মঙ্গলবার ভোরে মাথায় গুলি করে ফুটবল খেলার মাঠে ফেলে রাখে।
খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা জলিলকে উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সন্দেহ করা হচ্ছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীরা জলিল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
উখিয়া থানা পুলিশ জলিলের লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে ১৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থীর জীবন কাটাচ্ছেন বহু দিন ধরে। তাদের বেশিরভাগই রয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে।
সেখানে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গত ছয় বছরে দুইশর মতো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এনিয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে উদ্বেগ।
এদিকে মিয়ানমারে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের লড়াই এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে। ওপার থেকে আসা গোলায় এরইমধ্যে দুজন মারা গেছেন।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শতাধিক সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।