Beta
মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ায় হামলা চালাতে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিতে পশ্চিমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সেই অনুমতি দেয়নি, উল্টো অন্যদেরকেও সতর্ক করেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন শুক্রবার সতর্ক করেছেন, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার আরও ভেতরে হামলা চালিয়ে কোনও লাভ হবে না।

তিনি বলেন, “এমন একক কোনও সক্ষমতা নেই যা ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারবে, কিয়েভের বিজয় এনে দিতে পারবে।”

সম্প্রতি জার্মানির রামস্টেইনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের মিত্রদের নিয়মিত বৈঠকে জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানান।

এছাড়া রাশিয়ার ভেতরে বিমানঘাঁটির মতো লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য সেগুলোর ব্যবহারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদনেরও পুনরাবৃত্তি করেন। তার জবাবেই লয়েড অস্টিনের এই সতর্কতা।

লয়েড অস্টিন বলেছেন, ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে শক্তিশালী সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তায় শিগগিরই আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে।

তবে পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার আরও গভীরে হামলার অনুমতি দিলেও তা খুব একটা কাজে আসবে না বলেই মত দেন তিনি।

তিনি বলেন, “রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনে গ্লাইড বোমা নিক্ষেপকারী বিমানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত এটিএসিএম ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার বাইরে সরিয়ে নিয়েছে।

“এমন কোনও সক্ষমতা নেই যা একাই এই যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণ করতে পারবে।”

অস্টিন আরও বলেন, “রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য ইউক্রেনের নিজস্ব সক্ষমতা রয়েছে, যেমন ড্রোন। এটিএসিএম এবং যুক্তরাজ্যের সরবরাহ করা স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের বাইরে তারা ড্রোন দিয়েই হামলা করতে পারে।

“রাশিয়া অনেক বড় দেশ, তাই স্পষ্টতই দেশটির অনেক লক্ষ্যবস্তুতেই ইউক্রেন হামলা করতে পারে। এজন্য তারা ইউএভি (মানবহীন আকাশযান) এবং অন্য যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে। ইউক্রেনের অনেক সক্ষমতাই রয়েছে।”

জার্মানি ইউক্রেনকে আরও ১২টি স্ব-চালিত হাউইটজার সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কানাডা বলেছে, তারা আরও ৮০ হাজার ৮৪০টি ছোট আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য রকেটের পাশাপাশি ১ হাজার ৩০০টি ওয়ারহেড আগামী মাসে ইউক্রেনে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে রামস্টেইন মিটিংয়ে জেলেনস্কি প্রথম উপস্থিত হন।

গত আগস্টের প্রথম দিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে এক আশ্চর্যজনক হামলা চালিয়ে প্রায় ১৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়।

জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের এই দীর্ঘ-পাল্লার সক্ষমতা থাকা দরকার শুধুমাত্র ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলে নয়, রাশিয়ার আরও ভেতরের ভূখণ্ডেও। হ্যাঁ, যাতে রাশিয়া শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য হয়।”

লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়াসহ বাল্টিক দেশগুলোও এতে তাকে সমর্থন দিয়েছে বলে জানান জেলেনস্কি। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ায় অনুপ্রবেশের পরও পুতিন ইউক্রেনে হামলা কমাননি। পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে কোনও শান্তিচুক্তির সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন।

তবে পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিলেও সেগুলো দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়নি। পশ্চিমাদের ভয় এতে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সরাসরি সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত