চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে দ্বিতীয় লেগে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০১৬-২০১৭ মৌসুমের শেষ ষোলতে পিএসজিকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। প্রথম লেগে পিএসজি জিতেছিল ৪-০ গোলে, পরের লেগে বার্সা জিতেছিল ৬-১ গোলে।
সেই ম্যাচে পিএসজির ডাগআউটে ছিলেন উনাই এমেরি, বার্সার ডাগআউটে লুইস এনরিকে। আট বছর পর দুই কোচ মুখোমুখি আবারও। এবার অ্যাস্টন ভিলার ডাগআউটে এমিরি আর পিএসজির কোচ এনরিকে। এমেরির ভিলা ৩-২ গোলের অসাধারণ জয় পেয়েছে পিএসজির সঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত হৃদয় ভেঙেছে এমেরিরই।
ফল
অ্যাস্টন ভিলা ৩ : ২ পিএসজি
(দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজির অগ্রগামিতা ৫ : ৪)
দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে জিতেও বাদ পড়েছে তার দল। কারণ প্রথম লেগে পিএসজি জিতেছিল ৩-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজির অগ্রগামিতা ৫-৪। এজন্যই হয়তো ম্যাচ শেষে কাছাকাছি পাওয়া একটি পানির বোতলে কিক মেরে নিজের ক্ষোভ মিটিয়েছেন এমেরি।
ম্যাচের শুরুতেই ভুল করে বসে আয়োজকরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের জায়গায় বাজানো হয় ইউরোপা লিগের মিউজিক! ভুল করে ভিলাও। দ্বিতীয় লেগে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজিই। ১১তম মিনিটে আশরাফ হাকিমি আর ২৭তম মিনিটে নুনো মেন্দেজের গোলে তারা দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে যায় ৫-১ ব্যবধানে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় ভিলা। ৩৪তম মিনিটে ইউরি টিয়েলেমানসের শট পিএসজি ডিফেন্ডার পাচোর গায়ে লেগে জড়ায় জালে।
জন ম্যাকগিনের গোলে ৫৫ মিনিটে ম্যাচে ফিরে ২-২ সমতা। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন তিনি। ৫৭ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে গোল করেন এজরি কনস্টা।
এরপর গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা টিয়েলেমানস ও মার্কো আসেনসিওর দুটি দারুণ প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে বাঁচান পিএসজিকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে ইয়ান মাটসেনের শট গোলমুখে প্রতিহত হলে রক্ষা পায় পিএসজি, আর হতাশায় ডাগআউটে শুয়ে পড়েন কোচ এমেরি।
এক গোল কমের হতাশায় ম্যাচ শেষে মাটিতে বসেছিলেন ভিলার তারকা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসও।
