Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রজ্ঞাপনও হয়েছে, শাহাদাতের শপথের অনিশ্চয়তা কাটেনি

বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

আদালতের রায়ের পর বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রামের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ হলেও আদৌ তিনি এই পদে শপথ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।

কারণ, কবে তিনি শপথ নেবেন বা কে তাকে শপথবাক্য পড়াবে সেসব নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি স্থানীয় সরকার বিভাগ। অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন হলেও আসলেই তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া এখনও অনিশ্চিত।

কোনও সিটি করপোরেশনের মেয়রের শপথ নেওয়ার বিষয় সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

তবে শাহাদাতের শপথ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী।

দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশে শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে ইসি প্রজ্ঞাপন দেওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে, কে তাকে শপথ পড়াবে?

যার উত্তর খুঁজতে সকাল সন্ধ্যা যোগাযোগের চেষ্টা করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের সঙ্গে। তবে টেলিফোন ধরেননি তিনি। পাওয়া যায়নি উপদেষ্টার একান্ত সচিবকেও।

পরে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এ বিষয়ে আসলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ই এই সিদ্ধান্ত নেবে।”

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আলাদা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করা হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন গেজেট করেছে। আসলে কি হবে সে বিষয়ে কাজ চলছে।”

সেক্ষেত্রে তার শপথ অনুষ্ঠান অনিশ্চিত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত তো একটা আসবে। অপেক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে কাজ চলমান।”

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। শাহাদাত হোসেন পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

ভোটের এক মাস পর ২৪ ফেব্রুয়ারি কারচুপির অভিযোগ তুলে সেই ফলাফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন শাহাদাত।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১ অক্টোবর সেই মামলার রায় দেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন। রায়ে ১০ দিনের মধ্যে শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণার গেজেট প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়।

তবে এমন এক সময়ে এই প্রজ্ঞাপন এল, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সব মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। ফলে মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলেও মেয়রের চেয়ারে ডা. শাহাদাত বসতে পারবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি শিরোনামে প্রকাশ করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজের প্রথম আদালতে দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করা হলো।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত