অক্টোবরে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ায় নারী বিশ্বকাপের একটা গতি হতে যাচ্ছে। বিসিবি থেকে সকাল সন্ধ্যাকে জানানো হয় আগামী সোমবারের মধ্যে আইসিসির কাছে একটা জবাব পাঠানো সম্ভব।
বিশ্বকাপের আগে দুই মাসের মতো সময় বাকি। এর মাঝে আইসিসিকে অনেক কিছুরই রূপরেখা ঠিক করতে হবে। বিসিবিরও অনেক প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পর বিসিবি বিশ্বকাপ আয়োজনের সক্ষম কিনা গত পরশু এই মর্মে জানতে চেয়েছিল আইসিসি।
সরকার না থাকায় জবাব দুই দিনেও দিতে পারেনি বিসিবি। বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী ও এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) কাছে বিশ্বকাপের নিরাপত্তার ব্যাপারে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মাঝে সরকার গঠিত হওয়ায় এখন জবাবটা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকেই আসবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিসিবি পরিচালক সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, “আসলে আইসিসি আগে থেকেই একটা টুর্নামেন্টের কার্যক্রম শুরু করে। তারা জানতে চেয়েছিল আমাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের কি হবে। আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে দিকনির্দেশনা চেয়ে সেনাবাহিনী ও এসএসএফের কাছে ই-মেইল দিয়েছিলাম।”
নিয়ম মেনেই ওই সময় ক্রীড়া মন্ত্রনালয়কেও চিঠি দেওয়া হয়। তাই এখণ সঠিক জায়গা থেকে জবাব আসতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ওই পরিচালক, “আমরা ই-মেইলের সিসিতে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়কে রেখেছিলাম। যেহেতু এখন সরকার গঠিত হয়েছে এবং উপদেষ্টাও নির্দিষ্ট হয়েছেন তাই সিদ্ধান্ত আসতে বাধা নেই। রবিবার বা সোমবারের মধ্যে মন্ত্রনালয় থেকে যে জবাবই আসুক আমরা তা আইসিসিকে জানাবো।”
বিশ্বকাপটা যেন বাংলাদেশে হয় সর্বোচ্চটা দিয়ে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশে থাকা বিসিবি পরিচালকরা। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে খেলতে আসা দলগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে ১০ দলের এই বিশ্বকাপ। খেলা হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।