Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
প্রত্যয় পেনশন স্কিম

কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

প্রত্যয় পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করে রবিবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
প্রত্যয় পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করে রবিবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
[publishpress_authors_box]

প্রত্যয় পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরকারের কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আলোচনার পরদিন রবিবার আন্দোলনকারী বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই সিদ্ধান্ত জানায়।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে এর বিরোধিতা করছে শিক্ষকরা। তাদের দাবি, বর্তমানে তারা যেরকম পেনশন পাচ্ছেন, নতুন স্কিমে তাদের সুবিধা কমে যাবে।

১ জুলাই প্রত্যয় স্কিম চালুর পর থেকে কর্মবিরতি শুরু করে শিক্ষকরা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছিল তারা।

এক সপ্তাহের বেশি সময় পর ওবায়দুল কাদের শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর কাদের বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে সন্তোষজনক বৈঠক হয়েছে। আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে শিক্ষকদের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে যুক্ত করা হবে।

কাদেরের মাধ্যমে সরকারের বক্তব্য জানার পর রবিবার তা নিয়ে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। সেখানে বেশিরভাগ শিক্ষক আন্দোলনে চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।

সভার সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে ফেডারেশনের মহাসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের দাবি মানা হয়নি সব।”

তবে সরকারের সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়েও আলোচনা চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কিন্তু আমরা আমাদের বক্তব্য লিখিত দিয়েছি। যেহেতু সরকারের সাথে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেহেতু আশা করি, এই সংকট খুবই শিগগিরই মিটবে।”

আগের দিনগুলোর মতো এদিন দুপুরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই পেনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী তারাও প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত হবেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গত ১ জুলাই থেকে ক্লাসে যাচ্ছে না। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরাও ধর্মঘট করছে বলে ক্লাস-পরীক্ষা চলছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনেও কোনও কাজ হচ্ছে না।

শিক্ষকদের এই আন্দোলন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চুপ রয়েছে। তারা বলছে, এটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আবার শিক্ষকদের আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেন।

শিক্ষকরা ধর্মঘট শুরু করার পরদিন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিল। তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন না করা পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি চলবে।

শনিবার শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সুপার গ্রেড ও স্বতন্ত্র স্কেল দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য তিনি প্রধানমন্ত্রী কাছে উত্থাপন করবেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত