Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ড. ইউনূসকে শিক্ষক নেটওয়ার্কের খোলা চিঠি

giti ara
[publishpress_authors_box]

অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নিশ্চিতে ‘সুস্পষ্ট নীতি ঘোষণার দাবি’ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে খোলা চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে লেখা খোলা চিঠিটি পড়ে শোনান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন।

রবিবার চিঠিটি প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে চিঠির অনুলিপি স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, আইন, ধর্ম ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাকেও পাঠানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের যে পতন হয়েছে তা নির্দিষ্ট কোনও গোষ্ঠীর ছিল না। তবে অতি উৎসাহী গোষ্ঠী বিভিন্ন পরিচয় ও মানুষের মতপ্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নিশ্চিতের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুপষ্ট নীতি ঘোষণা করতে হবে।”

গণঅভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত দেখা গেছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, “সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শুধু হিংসাত্মক কথাই বলা হচ্ছে না, হামলাও হচ্ছে। এছাড়া পথে ঘাটে নারী নিপীড়ন, মাজার, মন্দির, শিল্প স্থাপনার ওপর হামলা হচ্ছে।”

এভাবে চললে সঙ্কট উত্তোরণে সরকারকে আরও বেগ পেতে হবে বলেও মন্তব্য করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

গত জুলাইয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের প্রথম থেকেই সরব ছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সভা-সেমিনারের পাশাপাশি রাজপথেও সোচ্চার ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই সংগঠনটি।

খোলা চিঠিতে সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন হামলা ও হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়, এসব ঘটনা দীর্ঘদিন সমাজের মধ্যকার নানা অমীমাংসিত সমস্যা ও গণতন্ত্রহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

এভাবে চললে নাগরিকদের নিরাপত্তাবোধের অভাব তীব্রতর হবে এবং সংকট উত্তরণে সরকারকে আরও বেগ পেতে হবে বলেও মনে করছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। চিঠিতে বলা হয়, “এই ক্রান্তিকালে বর্তমান সরকারের নির্মোহ ভূমিকা পালন ও আশু পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।”

সরকার বা কোনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি হস্তক্ষেপকারীর সাহস জুগিয়ে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার ভয় দেখিয়ে কোনও গোষ্ঠীর কথা পালনে বাধ্য করে, তাহলে এত দামে কেনা জুলাই অভ্যুত্থানের কোন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হলো? এমন প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, “অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ কীভাবে নিশ্চিত করবে সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে। অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। সহিংস জমায়েতের সংঘবদ্ধ হিংস্রতা থেকে ভিন্নমত বা সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষায় সরকার কী কী পদক্ষেপ নেবে, তা–ও সুস্পষ্ট করতে হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত