গাজার ২০ লাখ মানুষের ‘লাইফলাইন’ হিসেবে বিবেচিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর আর্থিক সংকট এখন চরমে। সংস্থাটির হাতে যে অর্থ আছে, তা দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ ত্রাণ কার্যক্রম চালানো যাবে। এরপর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
সম্প্রতি ইসরায়েল সংস্থাটির কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে। এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের একের পর এক ধনী দেশ সংস্থাটিকে অর্থ সহায়তা দেওয়া স্থগিত করলে এই সংকট তৈরি হয়।
ইসরায়েলের অভিযোগের পরপরই গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ইউএনআরডব্লিউএর অর্থ সহায়তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে। এরপর একে একে আরও ১৩টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই ঘোষণা দেয়।
এদিকে জাতিসংঘ শনিবার বলেছে, ইউএনআরডব্লিউর যে ১২ কর্মীর বিরুদ্ধে ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, তাদের নয়জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজনের একজন মারা গেছেন এবং অন্য দুজনের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। কর্মীদের তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সংস্থাটি।
গত প্রায় চার মাস ধরে ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল যুদ্ধের ফলে গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। এর মধ্যেই এভাবে হুট করে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “অল্পকিছু কর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে পুরো একটি সংস্থা ও জনগোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে না। বিশেষ করে যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি ও রাজনৈতিক সংকটের সময় এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন।”
ইউএনআরডব্লিউএ কী
ইউএনআরডব্লিউএর পূর্ণরূপ হলো- ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন নিয়ার ইস্ট। বাংলায়- নিকট প্রাচ্যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালে। ১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী মিলিশিয়ারা লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছিল। সেসব ফিলিস্তিনিকে সহায়তা করার জন্যই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সংস্থাটি ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা এবং সেইসঙ্গে জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়াসহ পাশের যেসব দেশে ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব দেশে কাজ করে। এটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ ও মানব উন্নয়নে সহায়তার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কাজ করে।
যেমন প্রাথমিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, ত্রাণ ও সামাজিক পরিষেবা, অবকাঠামো ও শরণার্থী ক্যাম্পের উন্নতি, ক্ষুদ্রঋণ এবং জরুরি সহায়তা।
ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, তাদের অর্থের প্রধান উৎস মূলত স্বেচ্ছাসেবীদের দান। জাতিসংঘ ভর্তুকি হিসেবে তাদের যে সীমিত পরিমাণ অর্থ দেয়, তা প্রশাসনিক কাজেই খরচ হয়ে যায়।
সংস্থাটি আরও জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য ছাড়া তাদের মানবিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। ২০২২ সালে সংস্থাটির অর্থের ৯৪.৯ শতাংশ এসেছে বিভিন্ন দেশের দান থেকে, যার মধ্যে ৪৪.৩ শতাংশই এসেছে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে।
সে বছর সংস্থাটির তহবিলে মোট ১.১৭ বিলিয়ন ডলার জমা হয়েছিল, যার মধ্যে ৫২০.৩ মিলিয়ন ডলার এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে। সে বছর এককভাবে শীর্ষ দাতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইইউ ও সুইডেন। সংস্থাটির মোট তহবিলের ৬১.৪ শতাংশ এসেছে এদের কাছ থেকে।
ইউএনআরডব্লিউএর সাবেক মুখপাত্র ক্রিস গুনেস বলেন, সংস্থার হাতে এখন খুব কম পরিমাণ অর্থ আছে। যা আছে, তা দিয়ে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ গাজায় ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচানোর গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালানো যাবে।
গুনেস আল জাজিরাকে বলেন, “আরব বিশ্ব এবং বিশেষ করে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আমার বার্তা আপনারা এখন কোথায়? কারণ তারা প্রতিদিন তেল বিক্রি থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার আয় করছে। সেই অর্থ থেকে সামান্য একটি অংশ দিলেই ইউএনআরডব্লিউএর আর্থিক সমস্যা রাতারাতি মিটে হয়ে যাবে। পশ্চিমা দেশগুলোর অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপের ফলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তাও খুব দ্রুত পূরণ হবে।”
তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠী ফিলিস্তিনিরা দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। তাদের এই বিপদের দিনে আরব রাষ্ট্রগুলোর অবিলম্বে এগিয়ে আসা উচিৎ।”
ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযোগ
ইউএনআরডব্লিউএ শুক্রবার বলেছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় তাদের ১২ জন কর্মচারীর জড়িত থাকার অভিযোগের তথ্য দিয়েছে ইসরায়েল।
সংস্থাটির প্রধান লাজারিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অবিলম্বে তিনি অভিযুক্ত কর্মীদের নিয়োগ চুক্তি বাতিল করেছেন এবং আসল সত্যটা কী, তা জানার জন্যও তদন্ত শুরু করেছেন।
এছাড়া ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী শনিবার এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, ইউএনআরডব্লিউএর কিছু স্থাপনাও ‘সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যে’ ব্যবহার করা হয়েছে।
জাতিসংঘ এসব অভিযোগের তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের হামলার শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গত শনিবার লাজারিনিকে তার পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
অর্থ সহায়তা স্থগিতের পরিণতি সম্পর্কে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধানের হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় কাৎজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, “মিস্টার লাজারিনি, দয়া করে পদত্যাগ করুন।”
ইউএনআরডব্লিউএর সাবেক মুখপাত্র গুনেস বলেন, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার উপর “সমন্বিত রাজনৈতিক আক্রমণ” হয়েছে।
রবিবার তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “ইসরায়েলিরা বলেছে, ইউএনআরডব্লিউএকে ভেঙে না দিলে তারা গাজার যুদ্ধে জিততে পারবে না। এর চেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত আপনি আর কী চান?”
চলমান গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় সংস্থাটির ১৫২ কর্মী নিহত হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের একটি নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএর প্রায় ২০০ কর্মী হামাস বা ইসলামিক জিহাদের সদস্য।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনেও ইসরায়েলি গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে বলা হয়েছে, গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর ১২ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রায় ১২০০ জনের হামাস বা ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের জন্য ইউএনআরডব্লিউএ কতটা জরুরি
ইউএনআরডব্লিউএ গাজার বৃহত্তম মানবিক ত্রাণ সহায়তা সংস্থা। গাজায় এর ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জন যুদ্ধের মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান লাজারিনি বলেন, গাজার প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ২০ লাখ মানুষই সংস্থাটির ত্রাণসহয়তা ও মানবিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, “সামান্য কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে পুরো সংস্থার প্রতি অর্থ সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্তে আমি হতবাক। অথচ যুদ্ধ এখনও চলছে। গাজায় ত্রাণের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে এবং দুর্ভিক্ষ কড়া নাড়ছে।”
লাজারিনি বলেন, “অল্প কয়েকজনের দোষে গাজার সব ফিলিস্তিনিকে এভাবে অতিরিক্ত শাস্তি দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। এতে আমাদের সবার হাতেই ফিলিস্তিনিদের রক্তের দাগ লাগবে।”
তিনি জানান, তার সংস্থা ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করে এবং এমনকি তীব্র যুদ্ধের সময়ও খাদ্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, “হাতে গোনা কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা ইউএনআরডব্লিউএর হাজার হাজার কর্মীকে শাস্তি দেওয়া উচিৎ হবে না। সংস্থাটির সহায়তা ছাড়া ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষেরা বেঁচে থাকতে পারবে না।”
কারা অর্থ সহায়তা বন্ধ করেছে কারা করেনি
ইসরায়েলের অভিযোগের পরপরই গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত করার এবং অর্থ সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের দেখাদেখি সোমবারের মধ্যে আরও ১৩টি দেশসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইউএনআরডব্লিউএর তহবিল স্থগিত করে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি দেশগুলো হলো- কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, রোমানিয়া ও এস্তোনিয়া।
এছাড়া ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, তারা ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে ইউএনআরডব্লিউএকে নতুন করে আর কোনও অর্থ সহায়তা দেবে না। তবে জাতিসংঘ ও এর প্রধান দাতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে ইউএনআরডব্লিউএর প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা বলেছে।
নরওয়ের সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গাজা, পশ্চিম তীর ও এই অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ, জীবন বাঁচানো এবং মৌলিক চাহিদা ও অধিকার রক্ষায় সংস্থাটির কয়েক হাজার কর্মী গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। অল্প কিছু কর্মীর অপরাধের সঙ্গে পুরো ইউএনআরডব্লিউএর কার্ক্রমকে গুলিয়ে ফেললে হবে না।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “গাজায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে এখনই ফিলিস্তিনিদের আন্তর্জাতিক সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।”
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এক্স-এ লিখেছেন, “গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর গুরুত্বপূর্ণ কাজে অর্থ সহায়তা বন্ধের কোনও পরিকল্পনা আয়ারল্যান্ডের নেই।”
তলানিতে জাতিসংঘ-ইসরায়েল সম্পর্ক
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত কয়েক মাসে জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। শুরু থেকেই জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গাজায় ইসরায়েলের হামলার সমালোচনা করে আসছিলেন এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এতে ইসরায়েলও জাতিসংঘের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে এক বিরল পদক্ষেপ নেন। জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে লেখা চিঠিতে ওই আহ্বান জানান তিনি। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো তিনি জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করেন। এতে ইসরায়েলও তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
ইউএনআরডব্লিউএর ১২ কর্মীর হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগও ইসরায়েল এমন এক সময়ে করেছে যখন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত তাদেরকে গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে আদেশ দিয়েছে। গত শুক্রবারই গাজায় গণহত্যা বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে আদেশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। আর ইসরায়েলও সেদিনই এই অভিযোগ করে।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে সমালোচনা করে আসছে। তেল আবিব সংস্থাটির বিরুদ্ধে ইসরায়েলবিরোধী উসকানির অভিযোগও এনেছে, তবে ইউএনআরডব্লিউএ তা অস্বীকার করেছে। ২০১৭ সালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সংস্থাটি ভেঙে দিয়ে এটিকে জাতিসংঘের প্রধান শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে একীভূত করার আহ্বানও জানান।
ইসরায়েলের অভিযোগ, সংস্থাটির ত্রাণ সহায়তা হামাসের হাতে চলে যায় এবং তাদের স্কুলগুলোতে ইসরায়েলকে ঘৃণা করা শেখানো হয়। তবে ইউএনআরডব্লিউএ বরাবরের মতো এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি ও সিএনএন