Beta
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

মৃতদেহের প্রতীকী ছবি
মৃতদেহের প্রতীকী ছবি
[publishpress_authors_box]

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিপন চাকমা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত নিপন চাকমাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এক বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনটি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদও জানিয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গলতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জ্ঞান জ্যোতি চাকমা বলেন, “বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গতকাল (শনিবার) কনসার্টের অনুষ্ঠান চলাকালে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে একজনকে গুলি করে মারা হয়েছে।”

স্থানীয়রা জানান, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন ইউপিডিএফ কর্মী নিপন চাকমা। রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে এসে নিপন চাকমাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের বাঘাইছড়ি ইউনিটের সংগঠক অক্ষয় চাকমা জানান, বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলীতে শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা নিপন চাকমা (৩৫) নামে ইউপিডিএফের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত নিপন চাকমা বাঘাইছড়ির পশ্চিম বালুখালী গ্রামের কমলা কান্তি চাকমার ছেলে।

বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলযোগে বঙ্গলতলীতে এসে ইউপিডিএফ সদস্য নিপন চাকমার ওপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

এই হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ ও ‘ন্যাক্কারজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে অক্ষয় চাকমা অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদে সন্ত্রাসীরা একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করলেও খুনিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

বিবৃতিতে অবিলম্বে নিপন চাকমার খুনিদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সন্ত্রাস বন্ধের দাবি জানানো হয়।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, “শনিবার রাতে বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপিডিএফএর দলের সঙ্গে তাদের প্রতিপক্ষের গোলাগুলি হয়েছিল শুনেছি। ঘটনার রাতে এবং আজ (রবিবার) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনও লাশ খুঁজে পায়নি। আমরা তদন্ত করছি।”

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে গুলিবিদ্ধ মরদেহটি রাখা হয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় গুলি করে ইউপিডিএফের চার নেতাকে হত্যা করা হয়। ওই সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা যান ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহসভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন ত্রিপুরা।

পানছড়ির চার খুনের দেড় মাসের মাথায় গত ২৪ জানুয়ারি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফ আরও দুই সদস্য রবি কুমার চাকমা ও শান্ত চাকমা ওরফে বিমলকে হত্যা করা হয়। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাঘাইছড়ি উপজেলায় খুন হন ইউপিডিএফের আরও দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশুক্য চাকমা ওরফে আশীষ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত