রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মুক্ত হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা।
বুধবার তার মুক্ত হওয়ার খবর দিয়ে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য চাকমা জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরে মাইকেল সেনানিবাসে ‘আয়না ঘরে’ বন্দি ছিলেন।
আওয়ামী লীগের শাসনকালে অনেককে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ভবনে একটি স্থানে বন্দি রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরদিন সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আসে, তারপরই কয়েকজনের মুক্ত হওয়ার খবর আসে।
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা নিরুদ্দেশ হন।
তাকে গুম করা হয়েছিল বলে ইউপিডিএফ অভিযোগ করেছিল তখন, তবে রাষ্ট্রীয় কোনও বাহিনী তখন তাকে গ্রেপ্তারের খবর স্বীকার করেনি। এরপর তার আর কোনও খোঁজও পাওয়া যায়নি।
অংগ্য চাকমা বলেন, “এত দিন মাইকেল চাকমা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের গোপন বন্দিশালা আয়না ঘরে বন্দি ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আমাদের মায়ের ডাকের কর্মীরা ডিজিএফআইয়ের কার্যালয়ের প্রতিনিয়ত যাচ্ছে। যেহেতু সেখানে গুম হওয়ার লোকেরা ছাড়া পাচ্ছে।
“সর্বশেষ আজকেও আমাদের এই মাইকেল চাকমার মুক্তির জন্য মায়ের ডাকের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। তখন আমরা জানতে পারি যে, ওখান থেকে ডিজিএফআইয়ের একটা ইউনিট চট্টগ্রামে আমাদের মায়ের ডাকের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাইকেল চাকমাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।”
মাইকেল চাকমা পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত প্রসিত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের সংগঠক ও শ্রমজীবী ফ্রন্টের (ইউডব্লিউডিএফ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুতন কুমার চাকমা মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় বন্দি করে রাখার জন্য দায়ীদের শাস্তিও দাবি করেন।