ইতিহাস গড়ার এক ভোটের দুয়ারে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের প্রভাবশালী এই দেশের নির্বাচনে রয়েছে সবার নজর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কীভাবে হয়, কারা ভোট দেয়, এই সব নিয়ে সংক্ষেপে প্রশ্নোত্তরে তুলে ধরা হলো সকাল সন্ধ্যার পাঠকদের জন্য।
ভোট কেন মঙ্গলবার?
যুক্তরাষ্ট্রে চার বছর অন্তর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ভোটগ্রহণ হয়। এবার নির্বাচন হচ্ছে ৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার। সংবিধান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্টে্র প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর। তাই একজনের মেয়াদ শেষের আগেই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়া হয়। সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বিপুল ক্ষমতা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমতাবলেই অনেক আইন পাস করতে পারেন, তবে তা কংগ্রেসে অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়।
বিশ্বের অনেক দেশে নির্বাচন হয় রবিবার, কোথাও কোথাও শনিবারও হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ম হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে সপ্তাহের প্রথম মঙ্গলবার।
আঠার শতকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের একেক রাজ্যে একেক দিন ভোট হতো। ১৮৪৫ সালে কংগ্রেসে এক দিনে সব রাজ্যে ভোটের আইনটি পাস হয়। তখনই নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার দিনটি আসে।
এই সময়টি নির্ধারণের সঙ্গে কৃষির বিষয়টি জড়িত। শরৎ কালের ফসল তোলার পর শীত শুরুর আগে এই সময়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
আর রবিবার সবাই চার্চে যায়, বুধবার সবাই ব্যস্ত থাকে শপিংয়ে, তাই মাঝামাঝি হিসাবে মঙ্গলবার বেছে নেওয়া হয়েছে ভোট গ্রহণের জন্য।
কে ভোট দিতে পারে?
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বয়স ১৮ বছর হলেই ভোট দিতে পারে। জনসংখ্যার হিসাবে দেশটিতে ২৩ কোটিরও বেশি মানুষ ভোটার হওয়ার যোগ্য। কিন্তু ভোটার ১৬ কোটি র মতো। কারণ ভোট দিতে হলে নিবন্ধিত হতে হয়। অনেকেই ভোট দিতে আগ্রহী হন বলে নিজের নাম নিবন্ধন করান না।
আবার ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি আগাম ভোট দেওয়া যায়, ভোট দেওয়া যায় পোস্টাল ব্যালটেও। ফলে ভোটের দিনের আগেই আগেই অনেক ভোট নেওয়া হয়ে থাকে।
ভোটে কোন কোন দল গুরুত্বপূর্ণ?
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা অনেক। তবে ভোটের ময়দানে দুটি দলই পরিচিত। দল দুটি হচ্ছে রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এর বাইরেও গ্রিন পার্টিসহ কয়েকটি দলে ভোটে অংশ নেয়। স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সুযোগও রয়েছে।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি উদার দল হিসাবে পরিচিত। নাগরিক অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাকে দলটি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির পরিচিতি রক্ষণশীল দল হিসাবে। তারা কর কমাতে চায়, সরকারের আকার সীমিত রাখার পক্ষপাতি, বন্দুক রাখার অধিকারের পক্ষে।
দলগুলো প্রার্থী বেছে নেয় কীভাবে?
রাজনৈতিক দলগুলো রাজ্যে রাজ্যে অভ্যন্তরীণ ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঠিক করে থাকে। এই প্রসঙ্গে চলে আসে প্রাইমারি ও ককাস শব্দ দুটি।
কিছু কিছু রাজ্যে শুধু প্রাইমারি অথবা ককাস নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আর কিছু রাজ্যে দুটোই হয়।
প্রাইমারি নির্বাচন পরিচালনা করে রাজ্য ও স্থানীয় সরকার। আর রাজনৈতিক দলগুলো আয়োজন করে ককাস নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনে নির্বাচিত তৃণমূলের দলীয় প্রতিনিধিরাই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে। যে প্রার্থীকে দলের বেশিরভাগ প্রতিনিধি ভোট দেন তিনিই দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পান।
প্রাইমারিতে সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলোতে দিনব্যাপী গোপন ব্যালটে তৃণমূল থেকে দলীয় প্রতিনিধিদের নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের তৃণমূল পর্যায় থেকে নির্বাচিত ওই প্রতিনিধিরা জাতীয় সম্মেলনে যান। রাজ্যের সর্বনিম্ন প্রশাসিনক ইউনিট থেকে এসব প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
ককাস হল তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিটি এলাকায় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধিত ভোটার ও কর্মীদের সম্মেলন, যা পূর্বনির্ধারিত দিন ও ক্ষণে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রথমে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী ইস্যু নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। এরপর প্রতিটি এলাকা থেকে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য মৌখিক বা হাত তোলার মাধ্যমে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়।
ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং রাজনৈতিক দলের নিয়মের উপর নির্ভর করে প্রাইমারি ও ককাসের ভোটগ্রহণ হয়। প্রাইমারি ও ককাসের নির্বাচনে অনেক সময় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধিত সমর্থকরা ছাড়া অন্য দলের এবং সাধারণ ভোটাররাও অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে অঙ্গরাজ্যগুলোর নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণ হয়। কোথাও কোথাও ‘উম্মুক্ত’ ভোটগ্রহণ হয়। এক্ষেত্রে ভোটারকে কোনো দলের হয়ে নিবন্ধিত হতে হয় না।
কোথাও কোথাও হয় ‘আবদ্ধ’ ভোট। এক্ষেত্রে ভোটারকে কোনো না কোনো দলের হয়ে নিবন্ধিত হতে হয়। কোথাও কোথাও আবার দুভাবেই ভোটগ্রহণ হয়।
এবার প্রার্থী কারা কারা?
রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ২০১৬ সালে জিতে এক মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করলেও ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরেছিলেন।
এ বছর প্রাইমারি ও ককাসে রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধিদের মধ্যে ২ হাজার ২৬৮ জন (৭৬.৪%) ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন ওহাইয়োর সেনেটর জে ডি ভান্সকে।
বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধিদের ৪ হাজার ৫৬৭ জন (৯৮.৯%) কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন।
বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা তার রানিং মেট হিসাবে বেছে নিয়েছেন মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজকে।
প্রধান দুই প্রার্থীর বাইরে গ্রিন পার্টির জিল স্টেইনও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রার্থী। রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রও এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন, তবে পরে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান।
জনমত জরিপে কী আভাস?
সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জরিপের গড় ফলাফল বলছে, জুলাইয়ের শেষে লড়াইয়ের ময়দানে নামা হ্যারিস ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছেন।
নির্বাচনী প্রচার শুরুর প্রথম সপ্তাহগুলোতে সমর্থনের দিক দিয়ে হ্যারিসের পাল্লা ছিল ভারী। গত আগস্টের শেষে ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় চার পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন তিনি।
পরের মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরজুড়ে এবং অক্টোবরের শুরুতে এই অবস্থান ধরে রেখেছিলেন এই ডেমোক্রেট প্রার্থী। তবে অক্টোবরের শেষ কয়েক সপ্তাহে হ্যারিসের সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবধান কমে যেতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হচ্ছে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিন।
অন্য ৪৪টি রাজ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের ভোটের হার মোটামুটি একই থাকে। কিন্তু এই সাতটি রাজ্যের ভোটের চিত্র বদলায় বলে এগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলা হয়।
এই সাত রাজ্যে জরিপের গড় ফলাফলে হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান এতটাই কম যে কে এগিয়ে তা বলা মুশকিল।
গত জুলাইয়ের শেষে হ্যারিস প্রতিযোগিতায় নামার পর দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে দুই প্রার্থীর সমর্থন ওঠানামা করতে দেখা যায়।
গত আগস্টের শুরু থেকে আরিজোনা, জর্জিয়া, নেভাডা ও নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে দুই প্রার্থীর প্রতি সমর্থন কয়েকবার কম-বেশি হতে দেখা গেছে। তবে এ মুহূর্তে এই চার অঙ্গরাজ্যে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
বাকি তিন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনে গত আগস্টের শুরুতে এগিয়ে ছিলেন হ্যারিস। এসব অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে কখনও কখনও দুই বা তিন পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন তিনি।
তবে পেনসিলভেনিয়ায় ভোটের আগ মুহূর্তে খুবই অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় কীভাবে?
বেশি ভোট পাওয়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিত করে না। যেমন ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। কারণ, প্রেসিডেন্ট হতে হলে ইলেকটোরাল কলেজে ন্যূনতম ২৭০ ভোট নিশ্চিত করতে হয়।
যুক্তরােষ্ট্রর জনগণ মূলত ভোট দিয়ে রাজ্যগুলোর ইলেকটর নির্বাচিত করেন। সেই ইলেকটরদের ভোটে নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট। ৫১টি রাজ্যে (ওয়াশিংটন ডিসিসহ) মোট ইলেকটোরাল কলেজে ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি।
রাজ্যগুলোতে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ঠিক করা আছে। যে রাজ্যে যিনি বেশি ভোট পাবেন, তিনিই ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পাবেন।
সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৪টি। ট্রাম্প কিংবা কমলা ওই রাজ্যে যিনি বেশি ভোট পাবেন, ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলোও তিনি পাবেন। এক্ষেত্রে কেউ এক ভোটে বিজয়ী হলেও ৫৪ ইলেকটোরাল ভোটের সবক’টি পাবেন।
বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে, এমন রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- টেক্সাস (৪০), ফ্লোরিডা (৩০), নিউ ইয়র্ক (২৮), পেনসিলভেনিয়া (১৯), ওয়াইহো (১৭), মিশিগান (১৫), ভার্জিনিয়া (১৩)।
সবচেয়ে কম ৩টি করে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে আলাস্কা, ওয়াশিংটন ডিসি, ওয়াইমিং রাজ্যে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে আর কোন ভোট হয়?
সবার চোখ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে থাকলেও একইসঙ্গে কংগ্রেসের ৪৬৯টি আসনের প্রতিনিধিও নির্বাচনও হয়। কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সবক’টি আসনে ভোট হবে মঙ্গলবার। সেই সঙ্গে সেনেটের ১০০ আসনের ৩৪টিতেও নির্বাচন হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই বছর পর সেনেটের বাকি ৬৬ আসনে নির্বাচন হয়ে থাকে। সেজন্য তাকে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলা হয়।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বিপুল হলেও সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাকে সেনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের মুখাপেক্ষি থাকতে হয়।
বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে সেনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্রেটদের হাতে।
এবারের নির্বাচন কেন ইতিহাস হবে?
যুক্তরাষ্ট্রে এবার কমলা হ্যারিস কিংবা ট্রাম্প যিনিই জিতুক না কেন, তা ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে।
দেশটির প্রায় আড়াইশ বছরের ইতিহাসে এখনও কোনও নারী দেশটিতে প্রেসিডেন্ট হয়নি। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন কাছাকাছি গিয়েও রেকর্ডটি গড়তে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে একটি ইতিহাস গড়েছেন কমলা হ্যারিস। তিনি যদি ভোটে জেতেন, তাহলে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসাবে নতুন ইতিহাস গড়বেন।
অন্যদিকে এক মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের পর হোয়াইট ছাড়ার নজির অনেকের রয়েছে। কিন্তু সেই মেয়াদে দুই বার অভিশংসিত হন তিনি। দুই বার অভিশংসিত হয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার নজির যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নেই। ফলে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে এক্ষেত্রে তিনি ইতিহাস গড়বেন।
এবার কততম প্রেসিডেন্ট?
জর্জ ওয়াশিংটনকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের খাতা খুলেছিল। ১৭৮৯ থেকে ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট। ফলে আগামীতে যিনি আসবেন, তিনি দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হবেন।
নভেম্বরের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আগামী জানুয়ারিতে শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।
এরপর ২০২৮ সালের নভেম্বরে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।