Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সামরিক সহায়তা কমানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি

আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে কাটছে গাজার ৪ লাখ মানুষের জীবন।
আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে কাটছে গাজার ৪ লাখ মানুষের জীবন।
[publishpress_authors_box]

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ বাড়াতে ইসরায়েলকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, এক মাসের মধ্যে গাজার উত্তর ও দক্ষিণে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ আরও বাড়াতে হবে। নয়তো ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়া কিছুটা কমিয়ে দেবে ওয়াশিংটন।

ইসরায়েলকে গত রবিবার পাঠানো এক চিঠিতে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, নিজের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে এর আগে এত কড়া ভাষায় চিঠি দেয়নি ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “গাজায় অবনতি হওয়া মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে গত সেপ্টেম্বরে গাজার উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ মানবিক সহায়তা ইসরায়েল সরকারের বাধার সম্মুখীন হয়।

“এই বিষয়ে ইসরায়েলকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বাড়াতে এক মাসের মধ্যে ধারাবাহিক কার্যকর পদক্ষেপ দেশটিকে নিতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।”            

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতামূলক চিঠিটি পর্যালোচনা করে দেখছে ইসরায়েল।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চিঠিতে উল্লেখিত উদ্বেগ দূর করার ইচ্ছা রাখে তার দেশ।

গত সেপ্টেম্বরে গাজায় পাঠানো প্রায় ৯০ শতাংশ ত্রাণ সহায়তা আটকে দেয় ইসরায়েল।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা করে চলেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় দেশটি। তাদের ভাষ্য, কেবল হামাসের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই সেখানে হামলা চালানো হচ্ছে।

যদিও ইসরায়েলের হামলায় উত্তর গাজায় হতাহত হচ্ছে বহু মানুষ। গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগই নারী-শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক।

ইসরায়েলি হামলায় ঘরহারা হয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে কাটছে গাজাবাসীর জীবন। হামলায় আহতরা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেবে, সে উপায়ও নেই। কারণ হাসপাতালগুলোকেও লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। যে কয়টা হাসপাতাল অবশিষ্ট আছে, সেগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম।

এমন অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে ত্রাণ বিতরণ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল সরকার।

গত সেপ্টেম্বরে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের বাধার কারণে গাজার মানুষদের কাছে কোনও খাবার পাঠাতে পারেনি জাতিসংঘের সংস্থাগুলো।  

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৪ লাখ ফিলিস্তিনি ওই অঞ্চলে বাস করছে। তাদের বেঁচে থাকার অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ফুরিয়ে আসছে।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান অতোই রেনা বলেন, “উত্তর গাজার মানুষ পুরোপুরি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে তাদের টাটকা খাবার খাওয়ার সুযোগ নেই। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো দিলে তবেই তাদের কপালে টাটকা খাবার জোটে, নয়তো নয়।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত