Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

বাংলাদেশ প্রশ্নে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ওয়াশিংটন

বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ রেখে চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বুধবার তার কার্যালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে এই তথ্য জানান।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

তারপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, তার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার কথা এরই মধ্যে ওয়াশিংটন জানিয়েছে।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে ভারতীয় অংশীদারদের যোগাযোগ রয়েছে, পাশাপাশি ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছি।        

“আমরা কোনও গোপন কূটনৈতিক আলোচনায় যাচ্ছি না। তবে বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে আমরা চাপ দিয়ে যাচ্ছি। একই সঙ্গে জবাবদিহির আবহ তৈরি ও আইনের শাসনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।”

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই বাংলাদেশের কয়েকটি স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। এর প্রতিবাদে গত রবিবার হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করে বেশ কয়েকটি হিন্দু আমেরিকান সংগঠন।

তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায়।

একই সময়ে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই আইনপ্রণেতা রাজা কৃষ্ণমূর্তি ও শ্রী থানেদার পৃথক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিষ্ঠুরতা বন্ধে হস্তক্ষেপ ও সহায়তা কামনা করেন।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন চিঠি দুটি পেয়েছেন কি না বা পেয়ে থাকলে এ বিষয়ে তিনি কী ভাবছেন- জানতে চা্ইলে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “আমি এটুকু বলতে পারি, আমরা কংগ্রেসে নিয়মিত অংশীদারদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছি।

“আমি নির্দিষ্ট কোনও চিঠি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সবাইকে শান্ত থাকার ও সহিংসতা বন্ধের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্ব দেওয়াকেও আমরা সাধুবাদ জানাই।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত