শুধু ঝড়-বৃষ্টি নয়, রীতিমতো যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত হারিকেন আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। প্রথমবার দেশটিতে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতায় শুরুর নাজমুল হোসেন শান্তদের। ঝড়ের অভিজ্ঞতা কাটিয়ে এবার ক্রিকেটে ফেরার পালা।
শনিবার থেকে ঝড়ের প্রভাব কেটেছে টেক্সাসে। ঝলমলে রোদে রোববার অনুশীলনও করেছে বাংলাদেশ। এবার সিরিজ শুরুর অপেক্ষা। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ নাজমুল শান্তদের। এ সিরিজে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি যতটা সম্ভব নেয়া যায় সেই চেষ্টায় বাংলাদেশ।
লম্বা বিমান ভ্রমণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার ম্যাচের দিনও তাই অনুশীলন রাখা হয়েছে সকালের দিকে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের শহর হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সের উন্নত সুবিধায় নিজেদের দেশটির কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত করে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
অবশ্য বাংলাদেশের জন্য এই ভেন্যুর অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে শতভাগ কাজে লাগছে না। বরং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সুবিধা হচ্ছে শতভাগ। এ মাঠেই তারা নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ খেলবে কানাডা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশ বরং হিউস্টনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচের ভেন্যু পাশের শহর ডালাসের কন্ডিশন সম্পর্কে প্রস্তুত হতে পারে।
প্রস্তুতির মূল বিষয় ব্যাটিং। যে বিভাগ নিয়ে আজীবনই ভুগতে হয় দলকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকালে টপঅর্ডার থেকে সুখবর তেমন নেই। আবার টপঅর্ডারে রান আসলেও সেই ম্যাচে বিফল হচ্ছে মিডলঅর্ডার। সব মিলিয়ে সামনের তিন ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনে যতটা সম্ভব নিজেদের ব্যাটিং ত্রুটি মেরামত করতে হবে বাংলাদেশকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে চট্টগ্রামের উইকেটকেও অচেনা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন। উইকেট ভিন্ন হওয়ায় টপঅর্ডাররা বেশি রান করতে পারেননি। অধিনায়কের কথা উইকেট কঠিন হওয়াতেই তারা রান পাননি। অথচ লিটন দাসের সঙ্গে তার বাজে ফর্ম শেষই হচ্ছে না।
এছাড়া সৌম্য সরকার ইনজুরি থেকে মাত্রই সেরে উঠেছেন। সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলছেন। বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপের সেরা চার ব্যাটারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ তাই ছন্দে ফেরার পথ। ব্যাটিং অর্ডারের বাকিদের জন্য এই কন্ডিশন ব্যবহার করে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ে হাত ঝালিয়ে নেয়ার উপলক্ষ্য এই সিরিজ।
বাংলাদেশের জন্য রণ পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছেন স্টুয়ার্ট ল। এই অস্ট্রেলিয়ান ২০১২ সালে বাংলাদেশের হেড কোচ ছিলেন। খুব সম্প্রতি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচও ছিলেন। গত মাসে তাকে নিয়োগ দিয়েই পূর্ণ সদস্য কোন দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।