‘‘আমাদের কাছে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বড় ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার খেলা। ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো লড়াই এটাই’’-ম্যাচ শুরুর আগে বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট বোলার আলী খান। ইতিহাসের প্রথম টেস্টেরও অনেক আগে এই দুই দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন আলী।
মর্যাদার সেই ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ডালাসে প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করা কানাডা ৫ উইকেটে করেছে ১৯৪ রান। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এটা কানাডার দ্বিতীয় সেরা স্কোর। বিশ্বকাপের আগে সবশেষ খেলা সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে করা ১৯৯ রান যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাদের সেরা স্কোর।
১৯৪ রান আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির কোনও সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ। ২০১৪ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের ৪ উইকেটে ১৯৩ ছিল এতদিনের সেরা।
অ্যারন জনসন ও নবনীত ধালিওয়াল ৫.২ ওভারে গড়েছিলেন ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১৬ বলে ২৩ করা জনসনকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন হারমিত সিং। তবে অপর ওপেনার নবনীত থামেন ৪৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৬১ রানে। কানাডার ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর এটাই।
এছাড়া নিকোলাস কিরটন ৩১ বলে ৫১ ও শ্রেয়াস মোভভা করেন ১৬ বলে ৩২ রান। ১৮ ওভার শেষে কানাডার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৫৯। শেষ দুই ওভারে তারা করে ৩৫ রান। তাতে শ্রেয়াসের অবদানই বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আলী খান, হারমিত সিং ও কোরে অ্যান্ডারসন।
সৌরভ নেত্রভালকার একজন ইঞ্জিনিয়ার। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বসে খেলতেন ক্রিটে। সেই সৌরভই করলেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম বলটা।
এবারের আ
কানাডার অধিনায়ক সাদ বিন জাফরের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। আর যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলেল জন্ম ভারতের গুজরাটে। আজ (রবিবার) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার উদ্বোধনী ম্যাচটা তাই হয়ে উঠেছিল ভারত-পাকিস্তানের লড়াইও।