রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব মুম্বাইয়ে একসঙ্গে খেলেছেন সৌরভ নেত্রাভালকার ও হারমিত সিংয়ের সঙ্গে। গুজরাটে বয়স ভিত্তিক দলে রুমমেট ছিলেন অক্ষর প্যাটেল ও মোনাঙ্ক প্যাটেল। দিল্লিতে বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্তের সঙ্গে খেলেছেন মিলিন্দ কুমার। সেই বন্ধুরা এখন প্রতিনিধিত্ব করছেন দুটি আলাদা দেশের।
আজকের ম্যাচটির তাই পরিচিতি ছিল ভারত বনাম মিনি ভারত। সেই লড়াইয়ে ৭ উইকেটে জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করল ভারত। শুরুতে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্র পায় ৮ উইকেটে ১১০ রানের পুঁজি। নিউইয়র্ক নাসাউ স্টেডিয়ামের কঠিন পিচে লক্ষ্যটা ১০ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় রোহিত শর্মার দল।
গ্রুপ ‘এ’ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটের টিকিট পেল ভারত। ৩ ম্যাচ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পয়েন্ট ৪, পাকিস্তানের ২, কানাডার ২। ২ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট ০। চার দলেরই সুযোগ আছে সুপার এইটে ভারতের সঙ্গী হওয়ার।
ভারতের দুশ্চিন্তা বিরাট কোহলির ফর্ম। আজ সৌরভ নেত্রাভালকারের প্রথম বলেই ০ রানে আউট হলেন কোহলি। বিশ্বকাপে এবারই প্রথম বলে আউট হলেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে কোহলি করেছিলেন ১ ও ৪। ভারতীয় যুব দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা সেই সৌরভ ফেরান রোহিত শর্মাকেও (৩ রান)।
তৃতীয় উইকেটে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ২৯ রানের জুটিতে ধাক্কাটা কাটান ঋষভ পন্ত। ২০ বলে ১৮ করা পন্তকে বোল্ড করেন পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া পেসার আলী খান। ২২ রানে জীবন পেয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। শর্ট থার্ড থেকে স্কয়ার লেগের দিকে দৌড়ে বলের কাছে পৌঁছলেও সেটা তালুবন্দি করতে পারেননি সৌরভ নেত্রাভালকার।
একটা সময় ৭ ওভারে ৫১ রান দরকার ছিল ভারতের। কিছুক্ষণ পর পেনাল্টি ৫ রান পায় ভারত। কারণ ওভার করার মাঝে তিনবার এক মিনিটের বেশি করে সময় নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ক্যাচ মিস আর নিয়মের ফাঁদে পড়ে ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের।
সূর্যকুমার অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ২ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৫০ রানে। শিবম দুবে অপরাজিত ছিলেন ৩৫ বলে ৩১ রানে। চতুর্থ উইকেটে দুজন গড়েন ৬৭ রানের জুটি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আর্শদীপের তোপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলে শায়ান জাহাঙ্গীরকে (০) এলবি করার পর শেষ বলে ফেরান আনড্রিস গাউসকে। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে কেবল ১৮ রান করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, যা টি-টোয়েন্টিতে তাদের চতুর্থ সর্বনিম্ন। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোনও দলের সর্বনিম্ন রানও এটা।
তারপরও নিতিশ কুমারের ২৭, স্টিভেন টেলরের ২৪ আর কোরে অ্যান্ডারসনের ১৫-তে ৮ উইকেটে ১১০ রানের পুঁজি পায় যুক্তরাষ্ট্র। ৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং। বিশ্বকাপে কোনও ভারতীয় বোলারের এটাই সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। ২০১৪ সালে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ১১ রানে ৪ উইকেট ছিল আগের সেরা।
হার্দিক পান্ডিয়া ১৪ রানে নেন ২ উইকেট আর অক্ষর প্যাটেল ২৫ রানে ১ উইকেট। প্রথম দুই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জাসপ্রিত বুমরা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে পাননি উইকেটের দেখা।