টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার বিপক্ষে প্রায় ২০০ ছুঁই ছুঁই রান তাড়া করে জিতে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল তারা। এবার আমেরিকানদের কাছে ধরাশয়ী পাকিস্তান। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দলটির অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের কাছে এই অর্জন বিশাল।
কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসর শুরুর আগমুহূর্তে বাংলাদেশকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। শুধু ম্যাচ নয়, তিন ম্যাচের সিরিজও জিতে নিয়েছিল তারা। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জয় কিংবা প্রথম সিরিজ জয়কে দেখা হচ্ছিল ‘অঘটন’ হিসেবে। কিন্তু বিশ্বকাপের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর তাদের সাফল্যকে অঘটন বলার আর সুযোগ আছে কি?
পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। টানা দুই জয়ে সুপার এইটের স্বপ্ন দেখা তাদের মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ, আর এবার পাকিস্তানকে হারিয়ে ক্রিকেটে নিজেদের আগমণী বার্তা দিয়েছে দলটি। বিশেষ করে যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছে, তাতে দৃঢ় মানসিকতায় পরিচয় দিয়ে ২২ গজে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার, প্রথমবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েই জয়ের আনন্দে মেতেছে আমেরিকানরা। তাও আবার বিশ্বকাপ মঞ্চে। সেকারণেই অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল বলেছেন, “প্রথমবার খেলেই পাকিস্তানকে হারানো- এটা বিশাল অর্জন। পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স। কন্ডিশনের ফায়দা আমরা নিতে পেরেছি। ওদের ১৬০ রানের মধ্যে আটকে রেখেছি, যেটা আসলে তাড়া করার মতো স্কোর ছিল। নিজে অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত, আরও ভালো লাগছে জিততে পেরে।”
এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ধরা হচ্ছিল পাকিস্তানকে। তারকাখচিত সেই দলটিকে মাত্র ১৫৯ রানে আটকে রেখে জয়ের পথটা সহজ করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন মোনাঙ্ক, “টস জিতে প্রথম ছয় ওভার আমরা যেভাবে বল করেছি, ওখানেই জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। আমরা উইকেট নিয়েছি, প্রথম ১২ ওভার পর্যন্ত দারুণ বল করেছি। শাদাব (খান), বাবর (আজম) সুযোগ নিতে চেয়েছে, আমরা জানতাম ওরা এটা (সুযোগ) নিতে চাইবে।”
সত্যিকারের অধিনায়ক মতো সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোনাঙ্ক। রান তাড়া করতে নেমে তিনি খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়কের বক্তব্য, “জানতাম এই রান তাড়া করা সম্ভব। এজন্য টপ থ্রি’তে ভালো জুটির প্রয়োজন ছিল। ১২তম ওভার পর্যন্ত আমি ও (অ্যান্ড্রিয়েস) গোউস ম্যাচটা নিজেদের হাতে নিয়ে আসি।”