ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে একদল বিক্ষুব্ধ মানুষ।
টানা দেড় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের আগস্টে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এই বাড়িতে। সেই ভাঙা বাড়িতে বুধবারও লাঠি সোটা নিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন, যেখানে তিনি এখনও অবস্থান করছেন।
সেখানে থেকে সোশাল মিডিয়ায় শেখ হাসিনার লাইভ ভাষণের ঘোষণা দেওয়া হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয়। এরপর এদিন রাত ৮টার দিকে গেট ভেঙে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটিতে ঢুকে পড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
এ ঘটনার সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রায় পাঁচ-সাতশো লোক সেখানে অবস্থান করছেন।
সেখানে বিক্ষুব্ধদের মিছিল করার কথা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
“সেখানে ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। আরও পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
তবে হামলা বা ভাঙচুর করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে উত্তর দেননি মি. হোসেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।”
এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভি ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল কর্মসূচি দিয়ে প্রচারণাও চালানো হয় বিভিন্ন আইডি থেকে।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একদল মানুষকে ধানমন্ডির ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়।
তবে, সেখানে বুলডোজার নেই বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা।
‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসা বাড়িটি পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপরই জনরোষের শিকার হয়।
সেদিনই সেখানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।