Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

গণসংযোগে গিয়ে হামলায় নিহত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী

নিহত সুমন মিয়া
নিহত সুমন মিয়া
[publishpress_authors_box]

নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের প্রচারে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

বুধবার দুপরে পাড়াতলী ইউনিয়নের চরাঞ্চল মীরেরকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত প্রার্থীর নাম সুমন মিয়া (৪০)। তিনি রায়পুরার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিনের ছেলে।

তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে হতে যাওয়া ভোটে তালা প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছিলেন তিনি। সুমন মিয়া স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছাত্রজীবনে নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুপুরে পাড়াতলী ইউনিয়নে নির্বাচনী গণসংযোগ করতে যান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়াসহ তার সমর্থকেরা। তারা মীরেরকান্দী গ্রাম থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। একই গ্রামে চশমা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও তার সমর্থকরাও অবস্থান করছিলেন।

সুমন মিয়া মীরেরকান্দী গ্রামে গংসযোগ শুরু করলে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলসহ তার সমর্থকরা সুমনদের ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন সুমনকে মারধর করা হয়।

আহত সুমন দৌড়ে বাঁশগাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে এই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরাই তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খান নুরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, সন্ধ্যার দিকে সুমনকে  হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে এর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সেসময় সুমনের নাকে-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল, আঘাতের চিহ্নও ছিল। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।

রায়পুরা থানার ওসি মো. সাফায়েত হোসেন পলাশ জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে যে, প্রতিপক্ষের আঘাতেই সুমনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশের অভিযান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।

অন্যদিকে, সুমন মিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যসহ কর্মী সর্মথকরা হাসপাতালে ছুটে যান। লাশ দেখতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুও।

রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “যতদূর জানলাম আজ ওই দুই প্রার্থী সেই চর এলাকায় প্রচার করছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, হামলায় সুমন মারা যান।”

ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া নিহতের ঘটনায় আইনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত