পাথুম নিসাঙ্কার কাট সীমানা পেরিয়ে যেতেই জয় নিশ্চিত হলো শ্রীলঙ্কার। তাতে ১০ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানোর আনন্দে মাতলো লঙ্কানরা। শুধু ওই চার নয়, ওভাল টেস্ট জয়ের কারিগরও নিসাঙ্কা। ডানহাতি ওপেনারের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে জিতেছে সফরকারীরা।
দেশ-বিদেশ মিলিয়ে সবশেষ ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) তারা জয়খরা কাটাল ইংল্যান্ডের মাঠেই। অবশ্য তিন ম্যাচের সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল আগেই। প্রথম দুই টেস্ট জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল ইংলিশরা। ওভাল টেস্ট জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো শ্রীলঙ্কা সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।
বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৫৬ রানে অলআউট করেছিল শ্রীলঙ্কা। ফলে জয়ের জন্য তাদের দরকার পড়ে ২১৯ রান। ১ উইকেটে ৯৪ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে সফরকারীরা। চতুর্থ দিনে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ধনাঞ্জয়া ডি সিলভারা।
ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ তত্ত্ব মেনে ব্যাট করেছেন নিসাঙ্কা। ৫৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা এই ওপেনার ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেছেন। ইংলিশ বোলারদের শাসন করে পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
জয় নিশ্চিত করে ১২৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ১২৪ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৩ চার ও ২ ছক্কায়। তার সঙ্গে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে জয়ের উৎসবে ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কার হারানো একমাত্র উইকেটটি কুশল মেন্ডিসের (৩৯)।
২০১৪ সালে টেস্টে সবশেষ ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। লিডসের ওই ম্যাচ লঙ্কানরা জিতেছিল ১০০ রানে। ওই ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন ম্যাথুজ। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছিলেন ১৬০ রানের ইনিংস। আর এবার নায়ক নিসাঙ্কা। প্রথম ইনিংসেও তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৪ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে এই ওপেনারের হাতে। আর সিরিজসেরা হয়েছেন জো রুট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৩২৫ ও ১৫৬।
শ্রীলঙ্কা: ২৬৩ ও (টার্গেট ২১৯) ২১৯/২ (নিসাঙ্কা ১২৭*, কুশল ৩৯, ম্যাথুজ ৩২*, করুণারত্নে ৮; আটকিনসন ১/৪৪, ওকস ১/৫২)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: পাথুম নিসাঙ্কা।
সিরিজসেরা: জো রুট।