ম্যাচের তখন শেষ বেলা। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায়। ভিয়ারিয়াল-সেল্তা ভিগোর ম্যাচে সমতা ছিল ৩-৩ গোলে। তখনই সেল্তা ভিগোর বক্সে ফাউলের শিকার হলেন থিয়েরনো ব্যারি। রেফারি বাজালেন পেনাল্টির বাঁশি।
সেখানেও নাটকীয়তা। দানি পারেজোর শট ঠেকিয়ে দেন সেল্তা ভিগোর গোলরক্ষক ইভান ভিলার। তবে ফিরতি বলে নেওয়া শট জালে জড়িয়ে ভিয়ারিয়ালকে ৭ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৪-৩ ব্যবধানের জয় এনে দেন পারেজো। ঘড়ির কাঁটায় তখন ১০০ মিনিট!
দুই জয়, এক ড্রতে লা লিগার শীর্ষেও উঠে এসেছে ভিয়ারিয়াল। তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। আর ২ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬ আর রিয়াল মাদ্রিদের ৪।
২০০৮ সালের পর ঘরের মাঠে এবারই প্রথম তিন গোল হজম করে জিতল ভিয়ারিয়াল। সেবার দেপোর্তিভো লা করুনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছিল তারা।
সোমবার ম্যাচ জুড়েই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গেছে ভিয়ারিয়াল ও সেল্তা। ভিয়ারিয়াল পোস্টে শট নিয়েছিল ২৪টি আর সেল্তা ২০টি! দুই দলের লক্ষ্যে শট ছিল সমান ৯টি করে।
সেল্তার হয়ে ১২ মিনিটে ইগলেসিয়াস, ৪১ মিনিটে মিনগুয়েজা আর ৮০ মিনিটে অপর গোলটি করেন স্টারফেল্ট। দুবার পিছিয়ে পড়েও ভিয়ারিয়াল ম্যাচে ফিরে হাল না ছাড়ার মানসিকতায়।
২৬ মিনিটে কারদোনা ও ৬০ মিনিটে ব্যারির পর ৬৪ মিনিটে আত্মঘাতি গোল করেন জেইলসন। এরপর ১০০তম মিনিটে দানি পারেজোর গোলে নাটকীয় জয় ভিয়ারিয়ালের।