সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় চট্টগ্রামে চারটি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে দুটি মামলা করেছে পুলিশ, বাকি দুটি মামলার বাদি সহিংসতার ঘটনায় আহত দুই ব্যক্তি।
বুধবার দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় তিনটি এবং খুলশী থানায় একটি মামলা হয়। চার মামলায় আসামি করা হয়েছে অন্তত সাত হাজার জনকে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, হত্যা, দাঙ্গা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে এবং বিস্ফোরক আইনে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি আলাদা মামলা করেছে। এছাড়া হামলায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমন ধরের মা বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন।
বিস্ফোরক ও হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া দুই মামলার প্রতিটিতে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সাহেদ আলী নামে এক ব্যক্তি খুলশী থানায় রমিজ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
খুলশী থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানান, মামলার এজাহারে যে রমিজের নাম এসেছে, তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদেরও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সংঘর্ষের পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৮৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার এই ৮৮ জনের মধ্যে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কতজনের তা জানা যায়নি। তবে পাহাড়তলী থানায় গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। এরা হলেন-জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শুভ দেবনাথ ও সাবেক সহসভাপতি ড্যানি বিশ্বাস।
নগর পুলিশের চার উপ-কমিশনারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নগরীর ১৬ থানায় রাতভর অভিযান চালানো হয়।
এর মধ্যে দক্ষিণ জোনের কোতোয়ালী, চকবাজার, বাকলিয়া ও সদরঘাট থানায় তিনজন করে মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তর জোনের অধীন পাঁচলাইশ থানায় এক জন, খুলশী থানায় দু’জন ও বায়েজিদ থানায় তিন জনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পশ্চিম জোনের অধীন ডবলমুরিং থানায় ১৬ জন, পাহাড়তলী থানায় ১০ জন, আকবর শাহ থানায় পাঁচ জন এবং হালিশহর থানায় ২৩ জনসহ মোট ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বন্দর জোনের অধীন কর্ণফুলী থানায় তিন জন, বন্দর থানায় পাঁচ জন, ইপিজেড ও পতেঙ্গা থানায় চারজন করে মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।