২৬২ করেও হার! টি-টোয়েন্টিতে এমন ইতিহাস ছিল না আগে। সেটাই বদলে গেল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ২৮৭ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে ২৬২ পর্যন্ত পৌঁছেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তারপরও ফাফ দু’প্লেসিসের দল হেরেছে ২৫ রানে।
ম্যাচ শেষে তাই বিস্ময় চেপে রাখতে পারলেন না ফাফ দু’প্লেসিস, ‘‘এটা পাগলামি! দুই দল মিলে রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ল এই ম্যাচে। উইকেটটা ছিল টি-টোয়েন্টির আদর্শ।’’
এবারের আইপিএলেই মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ২৭৭ করেছিল হায়দরাবাদ, যা ছিল এই টুর্নামেন্টের সেরা। এবার ২৮৭ করে পেছনে ফেলল সেই রেকর্ড। দুই দল মিলে রান করেছে ৫৪৯, যা আইপিএল তো বটেই টি-টোয়েন্টিরই সেরা। তাতে হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বিস্ময়, ‘‘মুম্বাই ম্যাচের পর ভেবেছিলাম আর এরকম কিছু হবে না। কিন্তু ঘটল তো!’’
বেঙ্গালুরুর হয়ে বিরাট কোহলি ২০ বলে ৪২, ফাফ দু’প্লেসিস ২৮ বলে ৬২ আর দিনেশ কার্তিক করেন ৩৫ বলে ৮৩। রান উৎসবের এই ম্যাচে দুই দল মিলে ছক্কা মেরেছে ৩৮টি আর বাউন্ডারি ৪৩টি। চার-ছয় মিলিয়ে হয়েছে ৮১টি-সেটাও বিশ্বরেকর্ড। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচের রেকর্ডগুলো।
৫৪৯ : দুই দল মিলে করেছে ৫৪৯ রান। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটাই এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান। আগের রেকর্ড ছিল ৫২৩ রানের। সেটাও হয়েছে এবারের আইপিএলে হায়দরাবাদ ও মুম্বাইয়ের ম্যাচে।
৩৮ : হায়দরাবাদের ছক্কা ছিল ২২টি , আইপিএলে যা সর্বোচ্চ। বেঙ্গালুরু মেরেছে ১৬ ছক্কা। দুই দল মিলে মেরেছে ৩৮ ছক্কা, স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টি যা যৌথ সেরা বিশ্ব রেকর্ড। মুম্বাই ও হায়দরাবাদ ম্যাচেও হয়েছিল ৩৮ ছক্কা।
৮১ : দুই দল মিলে ছক্কা মেরেছে ৩৮টি আর বাউন্ডারি ৪৩টি। চার-ছয় মিলিয়ে হয়েছে ৮১টি-সেটাও বিশ্বরেকর্ড। সমান ৮১টি বাউন্ডারি এসেছিল গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে (৪৬ বাউন্ডারি ৩৫ ছক্কা)।
৪০০ : চার-ছক্কায় এসেছে ৪০০ রান। টি-টোয়েন্টিতে চার-ছক্কায় এই প্রথম চারশ রান দেখল কোনো ম্যাচ। আগের সেরা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৩৯৪।