খেলতে নেমেছিলেন হোলির উৎসবে। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ব্যাটেও ছিল হোলির রং। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে বিরাট কোহলি খেললেন ৪৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু জিতল ৪ উইকেটে।
পাঞ্জাবের ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জ বেঙ্গালুরু পেরিয়ে যায় ৪ বল হাতে রেখে। তাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান শেষ দিকে দিনেশ কার্তিকের ১০ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংসের।
এই ম্যাচে কয়েকটা রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে করলেন ১০০তম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। তাতে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ফিল্ডিংয়ে জনি বেয়ারস্টোর ক্যাচটা ছিল টি-টোয়েন্টিতে কোহলির ১৭৩তম। ভারতীয় ফিল্ডারদের মধ্যে এত বেশি ক্যাচ নেই আর কারও। প্রথম ম্যাচে প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই ফরম্যাটে ১২ হাজার রানের মাইলফলকেও পা রেখেছিলেন কোহলি।
অথচ ইংল্যান্ডে দুই মাস ছুটিতে থাকার সময় গুঞ্জন উঠে, কোহলিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চান না নির্বাচকরা। তিনি নাকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধীর গতির পিচে অচল! অনেকে আবার খেলাটার প্রসারের জন্য বিশ্বকাপের দলে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কোহলিকে।
এসব কানে গেছে কোহলিরও। তাই ম্যাচ শেষে হাসতে হাসতেই জবাব দিয়েছেন সমালোচকদের,‘‘আমি জানি আমার নাম এখন শুধুই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টি-টোয়েন্টি প্রচারণার জন্য জুড়ে দেওয়া হয়। তবে মনে হয়, এখনও টি-টোয়েন্টি খেলার সামর্থ্য আছে আমার।’’
ইংল্যান্ডে ছুটি কাটানোর সময় সাদামাটা জীবন নিয়ে কোহলি বললেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে দুই মাস একান্তে কাটানোর অভিজ্ঞতা পরাবাস্তব ছিল। রাস্তায় কেউ চিনত না আমাকে, আর দশ জনের মত সাধারণভাবে চলতাম। এমন মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা এমন জায়গায় ছিলাম, যেখানে মানুষ আমাদের চেনে না। অবশ্য দুই বাচ্চার জন্য পরিবারে অনেক কিছু বদলে গেছে। একসঙ্গে থাকার ফলে বড় বাচ্চাটার সঙ্গে দুর্দান্ত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’
পাঞ্জাব ম্যাচের উইকেট নিয়ে জানালেন, ‘‘‘টি-টোয়েন্টিতে আমি দলকে উড়ন্ত সূচনা দিতে চাই। তবে যদি উইকেট পড়তে থাকে, তাহলে আপনাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। এখানে উইকেট যতটা ফ্ল্যাট থাকে, ততটা ছিল না। শট খেলা যায়নি আড়াআড়ি লাইনে।’’