তিন দিনেই শেষ হলো মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে টেস্ট। দুই দিন বাকি থাকলেও টেস্ট ক্রিকেটের সব রোমাঞ্চই উপস্থিত ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে। রোলার কোস্টারর মতো ম্যাচ কখনও হেলে যায় নিউজিল্যান্ডের দিকে তো কখনও নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত।
শেষ হাসিটা নিউজিল্যান্ডের। রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে ভারতকে ২৫ রানে হারিয়েছে তারা। জয়ের জন্য ১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১২১-এ।
নিজেদের মাটিতে তাই ৩-০’তে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। ২৪ বছর পর এমন লজ্জায় পড়তে হলো তাদের। ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ২-০’তে। নিউজিল্যান্ড এবার জিতল ৩-০তে। নিজেদের মাঠে এবারই প্রথম ৩-০’তে টেস্ট সিরিজ হারল ভারত।
তিন ম্যাচের সিরিজের শেষটিতে কিউইরা গুটিয়ে গিয়েছিল ২৩৫ রানে। জবাবে ভারত প্রথম ইনিংসে থামে ২৬৩-এ, লিড কেবল ২৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড অলআউট মাত্র ১৭৪ রানে। ৯ উইকেটে ১৭১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করা কিউইরা আজ (রবিবার) যোগ করতে পারে কেবল ৩ রান। ভারত জয়ের জন্য লক্ষ্য পায় ১৪৭ রান।
ভারতের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোটা মনে হচ্ছিল সময়ের অপেক্ষা। এত অল্প রানের লক্ষ্য হেসে খেলে পেরিয়ে যাওয়ার কথা রোহিত শর্মার দলের। তবে হাল না ছেড়ে পাল্লা দিয়ে লড়াই করেছে নিউজিল্যান্ড। এজাজ প্যাটেলের স্পিনে খেই হারিয়ে ১০৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় ভারত।
একটা প্রান্ত আগলে লড়াই করছিলেন ঋষভ পন্ত। ম্যাচটা তখন হয়ে উঠ ‘১ বনাম ১১’-র লড়াই। ৫৭ বলে ৬৪ করা পন্তকে ফিরিয়ে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় এনে দেন এজাজ প্যাটেল। এই আউটটা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ন্জিউল্যান্ডের জয় যখন মনে হচ্ছিল সময়ের অপেক্ষা, তখনই পাল্টা প্রতিরোধ ওয়াশিংটন সুন্দর ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। অষ্টম উইকেটে তাদের ১৫ রানের জুটিতে আশা জেগে উঠে ভারতের। তবে ৪ বলের ব্যবধানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয় ভারত।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এজাজ প্যাটেল নেন ৬ উইকেট। এই ম্যাচের নায়ক তিনিই। গ্লেন ফিলিপস দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট।
রোহিত শর্মা ১১, বিরাট কোহলি ১, শুবমান গিল ১, যশস্বী জয়সওয়াল ৫, সরফরাজ খান ১ আর রবীন্দ্র জাদেজা ৬, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৮ ও ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হয়েছেন ১২ রানে।
এই হারে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা কঠিন হয়ে পড়ল ভারতের।