ভারতের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের বোলিংয়ের লড়াই। গত কয়েক দশক চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ম্যাচের ব্যবধান গড়া হয়েছে এভাবেই। তবে ভারতের পেস বোলিং বিশ্বমানের হয়েছে এখন। জাসপ্রিত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজরা একাই ধসিয়ে দিতে পারেন যে কোনও দলের ব্যাটিং লাইন। তারপরও আজ দুই দলের মধ্যে কয়েক জনের মুখোমুখি লড়াইয়ে থাকবে বিশেষ নজর। আলোচনা করা যাক।
বিরাট কোহলি-মোহাম্মদ আমির
এবারের বিশ্বকাপে শুরুটা ভালো হয়নি কোহলি-আমির দুজনেরই। কোহলি প্রথম ম্যাচে আউট হয়েছেন ১ রানে। আর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারে এলোমেলো বোলিংয়ে আমির দিয়েছিলেন ১৮ রান। অবসর ভেঙে এমন ফেরা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি তিনি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও অবশ্য কোহলিকে আউট করতে পারেননি আমির। তবে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে আউট করেছেন দুবার। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে প্রথমবার। সে বার আমির একাই শেষ করে দিয়েছিলেন ভারতকে। এরপর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আবারও আউট করেন কোহলিকে। আর আমিরের বিপক্ষে খেলা ৬০ বলে কোহলি করেছেন মাত্র ৫৬ রান। মেরেছেন সাতটি চার। আমিরকে কখনও মারতে পারেননি ছক্কাও।
জাসপ্রিত বুমরা-বাবর আজ়ম: শুধু ভারত নয় সময়েরই অন্যতম সেরা পেসার বুমরা। তবে বাবর আজমকে এখনও আউট করতে পারেননি তিনি। বুমরার বিপক্ষে ৪৯ বল খেলে পাকিস্তানি অধিনায়ক করেছেন ৩৫ রান, বাউন্ডারি মেরেছেন ৪টি।
রোহিত শর্মা-শাহিন শাহ আফ্রিদি: ভারতীয় ব্যাটারদের বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে দুর্বলতা আছে ভারতীয় ব্যাটারদের, রোহিত শর্মার সেটা আরও বেশি। সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে রোহিত ও আফ্রিদি মুখোমুখি হয়েছেন ছয়বার। রোহিতকে ৩ বার আউট করেছেন আফ্রিদি।
পাকিস্তানের বাঁহাতি এই পেসারের বিপক্ষে ৬২ বল খেলে রোহিত করেছেন ৫২ রান। মেরেছেন পাঁচ বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। আজ এই লড়াইয়ে জিততে চাইবেন প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা রোহিত।
রবীন্দ্র জাদেজা-শাদাব খান : দুই দলের অন্যতম সেরা দুই অলরাউন্ডার তারা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য তেমন কিছু করার দরকার হয়নি জাদেজার। ব্যাটিং পাননি। বল করেছেন কেবল ১ ওভার।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারা ম্যাচটিতে ২৫ বলে ৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন শাদাব খান। এরপর বল হাতে ৩ ওভারে দেন ২৭ রান। এই দুজন স্পিন অলরাউন্ডারের লড়াইও গড়ে দিতে পরে ম্যাচের ভাগ্য।