Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মিরাকলের আশায় সোশাল মিডিয়ায় ইমরান ও পিটিআই

Pakistan 1
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান খান কারাগারে। তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীদের অনেকেই পলাতক। আসন্ন ১৬তম জাতীয় নির্বাচনে দলটি তাদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পায়নি। পিটিআইয়ের সংবাদ প্রচার নিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর রয়েছে ক্ষমতাসীনদের চাপ।

এত চাপের মধ্যেও পিটিআই বিশ্বাস করে, নির্বাচনে তারাই জিতবে। দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। জেষ্ঠ্য নেতাদের জায়গা নিয়েছেন নবীনরা।

এককথায় রাজপথে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের দাপটে দাঁড়াতে পারছেন না পিটিআইর নেতাকর্মীরা। কিন্তু থেমে নেই তারা। সোশাল মিডিয়ায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীনদের উৎখাতের আশা তাদের।

সম্প্রতি পাঞ্জাবের শিয়ালকোট শহরের এক গলির দেয়ালে লাগানো নিজের পোস্টারের পাশ দিয়ে ঝড়ের বেগে যাচ্ছিলেন রেহানা দার। ঢাকের তালে তালে এগিয়ে চলা তার মিছিলে পড়ছিল গোলাপের পাপড়ি।

এমন ঘটনায় ৭০ বছর বয়সে হঠাৎ রাজনীতিতে এসে অবাক হলেও একটুও বিচলিত নন রেহানা। অনেক প্রার্থী যারা ভয়ে আত্মগোপনে আছেন বা রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন, তাদের থেকে আলাদা এই নারী।

“আমার শিয়ালকোটের গর্বিত ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বাবা-মায়েরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটা অনেক আনন্দের কথা।”

বছরের পর বছর জনগণের সঙ্গে কাজ করা রাজনীতিকের মতোই চিৎকার করে দৃঢ়তার সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন রেহানা।

জমায়েতে বক্তব্য রাখছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহানা দার।

তিনি বলছিলেন, “আমি ইমরান খানের সঙ্গে আছি, তার সঙ্গেই থাকব। জনগণের মাঝে যদি আমি একা হয়েও যাই, তবু আমি ইমরান খানের পতাকা বহন করে রাস্তায় নামব।”

তার কথা যে সত্যি, তা এক নজরে তাকালেই বোঝা যায়। রেহানার চারপাশে যে ছোট্ট জমায়েত হয়েছিল সেখানে সবাই ইমরান খানের ছবি উঁচু করে ধরে ছিলেন। আর তাদের মাথার উপরে উড়ছিল পিটিআইয়ের পতাকা।

রেহানা দার কিন্তু পিটিআইয়ের প্রার্থী নন। নির্বাচন কমিশনের পিটিআইয়ের ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর, তিনিও অন্য প্রার্থীদের মতো কৌশল হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

৫৮ শতাংশ নিরক্ষর মানুষের দেশে ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের চিনতে প্রতীকের গুরুত্ব অনেক। পিটিআই নেতারা ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহার না করতে পেরে বিভিন্ন প্রতীকের আশ্রয় নিয়েছেন। রেহানার প্রতীক হলো শিশুর খাট। অন্যদের আছে চায়ের কেটলি থেকে শুরু করে স্যাক্সোফোন পর্যন্ত নানা জিনিস।

পিটিআই হাল ছাড়েনি, লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। রেহানার মতো প্রার্থীরা জনগণের সঙ্গে মিশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার প্রযুক্তির সাহায্যে কারাগার থেকে নেতাকে জনসভায় উপস্থিত করা হচ্ছে। এই লড়াইয়ে তারা তাদের সবকিছু ঢেলে দিতে প্রস্তুত, সেটা তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে।

গত নির্বাচনে শিয়ালকোটে দলের প্রচারের নেতৃত্বে ছিলেন রেহানার ছেলে উসমান। পিটিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা ইমরানের সরকারে যুব বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন।

কিন্তু তার পরিবারের দাবি, গত অক্টোবরের শুরুতে তিন সপ্তাহ নিখোঁজ ছিলেন উসমান। এরপর হঠাৎ একদিন তিনি টেলিভিশনে হাজির হয়ে বলেন, ইমরান খানই ছিলেন ‘৯ মে দাঙ্গার হোতা’।

ইমরানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত বছর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ হয়। কিছু জায়গায় দাঙ্গায় রূপ নিয়েছিল পরিস্থিতি। পুলিশ পিটিআইয়ের কয়েকশ সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে লাহোরসহ বিভিন্ন সামরিক ভবন, এমনকি সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার অভিযোগ আনা হয়।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইমরানকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু তার দলের ওপর দমন-পীড়ন চলছে।

বিক্ষোভের পরের কয়েক সপ্তাহ ও মাসে, তার দলের রাজনীতিকরা পিটিআই বা রাজনীতি থেকে পুরোপুরি অবসরের ঘোষণা দেন। এদের মধ্যে অনেক জেষ্ঠ্য নেতাও ছিলেন।

নির্বাচনী প্রচার

প্রশাসনের যুক্তি, ইমরানের পুরনো সমর্থকরা অশান্তির দায়ভার বহনকারী একটি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না। আর পিটিআই বলেছে, পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের নেতাদের।

সত্য যাই হোক, রেহানার তাতে কিছু যায় আসে না।

রেহানা বলেন, “উসমানের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত না। আমি তাকে বলেছি, আমার ছেলে যদি লাশ হয়ে ফিরে আসত, তবুও ভালো হতো। তুমি মিথ্যা বলেছ।”

সবাই অবশ্য রেহানার মতো প্রকাশ্যে প্রচার চালাতে পারছেন না। কিছু প্রার্থী কারাগার থেকেই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা কারাগার থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন। কিছু প্রার্থী পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে লুকিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার সাবেক মন্ত্রী আতিফ খান এখন ভিডিওবার্তার মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন। তার কর্মীরা তিন মিটারের একটি স্ক্রিন দিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি পার্ক করে পিটিআই সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রচার করছে।

লুকিয়ে থাকার কারণে তিনি ভোটারদের কাছে শুধু ভিডিওবার্তার মাধ্যমেই পৌঁছাতে পারছেন। পুলিশের ভয়ে তিনি গত মে থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আতিফ মনে করেন, তিনি ন্যায্য বিচার পাবেন না।

ভিডিওবার্তা প্রসঙ্গে বিবিসিকে ইমরান খান বলেছিলেন, “এটা পুরোপুরি আলাদা অভিজ্ঞতা। ভিড়ের মধ্যে নয়, মঞ্চে নয়, মানুষের মধ্যেও নয়। তবুও আমরা এটি সামলানোর চেষ্টা করছি।

“পিটিআইয়ের প্রধান শক্তি তরুণ ভোটাররা। তারা ডিজিটাল মিডিয়া, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাই আমরা মনে করেছি, ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আরও জড়িত হওয়া উচিত। এটাই আমাদের একমাত্র উপায়। আমরা শুধু ডিজিটাল মাধ্যমেই প্রচার চালাতে পারি।”

পিটিআইয়ের নির্বাচনী প্রচারে প্রযুক্তি এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

লাহোরে পিটিআইয়ের এক সমর্থককে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

পিটিআইয়ের অফিসিয়াল এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক পেইজের প্রত্যেকটিরই কয়েক মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। অন্য দুই প্রধান দল- পিপিপি ও পিএমএল-এন এর মিলিত ফলোয়ারের চেয়ে এই সংখ্যা বেশি। তিন দলের নেতাদের মধ্যে ইমরান খানই একমাত্র ব্যক্তি, যার এই তিনটি প্ল্যাটফর্মের প্রত্যেকটিতে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট আছে। এর মানে, তাদের বক্তব্য সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে।

প্রতীক হিসেবে ক্রিকেট ব্যাট না থাকায় ভোটারদের জন্য পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে দলটি। পিটিআই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে, যেখানে ভোটাররা তাদের নির্বাচনী এলাকার পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক জানতে পারবেন।

জনসভা আয়োজনেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পিটিআইকে। পাকিস্তানের রাজনীতি মূলত ব্যক্তিত্ব নির্ভর। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খান সন্দেহাতীতভাবেই ছিলেন বড় ব্যক্তিত্ব। মিছিলে হাজার হাজার মানুষকে আকর্ষণ করতে পারতেন তিনি।

কিন্তু ইমরান খান গত আগস্ট থেকে কারাগারে। এই সপ্তাহে একাধিক মামলার রায়ে তাকে ১৪ বছরের বেশি দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মিছিল আয়োজনেও বাধা পাচ্ছে পিটিআই। গত জানুয়ারিতে করাচিতে শত শত পিটিআই সমর্থকের মিছিলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছিল। প্রশাসনের দাবি, তাদের মিছিলের অনুমতি ছিল না। পিটিআই বলছে, তাদের প্রচার বন্ধ চেষ্টার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ এটি।

বিবিসি পিটিআইয়ের যেসব প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে, তারা সবাই তাদের সমর্থকদের হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে হয়রানি, অপহরণ, কারাগার ও সহিংসতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।

তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাঞ্জি বিবিসিকে বলেন, “আমরা এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক মনে করি। কিছু ব্যক্তিকে ৯ মে’র ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

“আমরা মনে করি পিটিআইয়ের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। তবে তারা চাইলে অসন্তোষ প্রকাশ করতে পারে। গণমাধ্যম সেগুলো প্রকাশ করবে। একইসঙ্গে তাদের সামনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। এমনকি সর্বোচ্চ আদালতেও তারা যেতে পারে।”

বক্তব্য রাখছেন ইমরান খান।

সমস্যার সমাধান কী ভার্চুয়াল সমাবেশে

শিকাগো থেকে ফোনে বিবিসির সঙ্গে পিটিআইয়ের সোশাল মিডিয়া প্রধান জিব্রান ইলিয়াস ডিজিটাল প্রচার নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, “এটা সস্তা, নিরাপদ ও দ্রুত। শারীরিক মিছিলের তুলনায় এর প্রভাব হয়তো একটু কম। কিন্তু আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইমরানকে ছাড়া আগে আমরা কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ করিনি।”

পাকিস্তানের জনগণ ইমরান খানের বার্তা শুনতে আকুল হয়ে আছে। তাহলে কীভাবে সেই বার্তা জনগণের কাছে পৌছানো যায়?

পিটিআই গত ডিসেম্বরে সমাবেশের জন্য ইমরানের বক্তৃতা তৈরিতে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করেছিল।

অবশ্য এসবের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকসের তথ্য অনুযায়ী, পিটিআইয়ের কিছু মিছিলের সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাঘাত ঘটেছিল।

ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টার থিংক ট্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান।

তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয়। এর মানে হল, পিটিআই সোশাল মিডিয়ায় তাদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে যতই দক্ষ হোক, অনলাইন প্রচারের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানোর সীমাবদ্ধতা তাদের থাকবেই।”

গত নির্বাচনের সময় যখন নওয়াজ শরীফ কারাগারে ছিলেন, তখনও এমন ঘটনা ঘটেছিল।

অন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতো কুগেলম্যানও মনে করেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনে পিটিআই জনগণের সমর্থন পেয়েছিল। তবে সেনাবাহিনীর প্রভাব ছাড়া তাদের জয় সম্ভব ছিল না। নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলোর ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালানো হয়। পিএমএল-এন’র অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দীর্ঘ কারাদণ্ড থেকে রেহাই পাননি নওয়াজ শরীফের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

“আমি বলব, পদ্ধতি একই। তবে এবার তীব্রতা বেশি। গ্রেপ্তার ও কারাবন্দী নেতাকর্মীর সংখ্যা পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার অনেক বেশি। এবার বিরোধী নেতাদের পরিবারের সদস্যদেরও হয়রানি করা হচ্ছে। এটা পুরোপুরি নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এরকম ব্যাপক হয়রানি দেখা যায়নি।”

পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলগুলো পিএমএল-এনের নওয়াজ শরীফ এবং পিপিপির বিলাওয়াল ভূট্টোর নির্বাচনী সভার দৃশ্যে ভরে আছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত, টিভিতে প্রধান আলোচনা ইমরানের সাজার প্রসঙ্গ।

পাকিস্তানের অনেক ভোটার হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা মনে করছেন, ভোট কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না। পিটিআইয়ের জয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও তারা মনে করেন।

এবিষয়ে কুগেলম্যান বলেন, “ইমরান খানের সঙ্গে হওয়া সব ঘটনার পরও তার সমর্থকদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করাই পিটিআই নেতৃত্বের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। দলটির অনেকে মনে করেন, যদি তারা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পারেন, তাহলে অলৌকিকভাবে তাদের জয় হতে পারে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত