ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সেই জৌলুস আর নেই। একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করা দলটি এখন রঙহীন। দলের কঠিন সময়ে তাদের কিংবদন্তিরাও যেন হাত গুটিয়ে বসে আছেন। দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে তারা কাজ করবেন কী, উল্টো নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা তৈরি করেছেন! যেটির সূত্রপাত ব্রায়ান লারার লেখা ‘লারা: দ্য ইংল্যান্ড ক্রনিকলস’ বই থেকে।
ভিভ রিচার্ডস ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো বটেই ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ব্যাটার। কার্ল হুপারের নামও খোদাই করে লেখা আছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে। এই দুই কিংবদন্তি ভীষণ খেপেছেন লারার ওপর। নিজের লেখা বইয়ে লারা জানিয়েছেন, “ভিভ সপ্তাহে একবার কাঁদাতেন হুপারকে।” টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৪০০* রানের ইনিংস খেলা লারার এই বক্তব্য ‘মিথ্যা’ বলে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন ভিভ ও হুপার। এজন্য লারাকে ‘ক্ষমা’ চাইতে বলেছেন তারা।
যৌথ বিবৃতিতে ভিভ ও হুপার জানিয়েছেন, “ব্রায়ান লারার সম্প্রতি প্রকাশিত বইতে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ও কার্ল হুপারকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এজন্য তারা ভীষণ হতাশ। তাদের বিরুদ্ধে উপস্থাপিত অভিযোগগুলো কেবল তাদের সম্পর্কের বাস্তবতাকেই বিকৃত করে না বরং তাদের চরিত্রের ওপরও প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে।”
হুপারের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন ভিভ। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভিভ সবসময় মেন্টরের ভূমিকায় হুপারকে সাহস জোগানোর কাজ করেছেন। ৪০ বছরের সম্পর্কের মধ্যে তাদের আছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা। কিন্তু লারার বই তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে ‘মিথ্যা তথ্য’ উপস্থাপন করেছে।
এজন্য ভিভ ও হুপারের দাবি, “আমাদের দাবি হলো লারা অবিলম্বে এই মিথ্যা তথ্যগুলো জনসম্মুখে এসে প্রত্যাহার করে নেবেন। একইসঙ্গে যে ক্ষতি তিনি করেছেন এজন্য ক্ষমা চাইবেন।”
লারা তার বই ‘লারা: দ্য ইংল্যান্ড ক্রনিকলস’-এ জানিয়েছেন, “ভিভ প্রতি তিন সপ্তাহে একবার আমাকে কাঁদাতেন। তবে কার্লকে (হুপার) সপ্তাহে একবার কাঁদাতেন তিনি (ভিভ)। ভিভের কণ্ঠস্বর ভীতিজনক এবং আপনি যদি যথেষ্ট শক্তিশালী না হন তাহলে আপনি এটি ব্যক্তিগতভাবে নিতে পারেন এবং এটি দ্বারা আপনি প্রভাবিত হতে পারেন। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, আমি কখনও প্রভাবিত হইনি।”
বইয়ের পরের অংশে লিখেছেন, “আসলে এটাকে (ভিভের কথা) আমি ভালোভাবে গ্রহণ করতাম। কারণ আমি জানতাম সে আমাকে ভালোবাসে, যদিও উল্টোদিকও হতে পারে, এটাও জানতাম। আমি শক্তিশালী মানসিকতার মানুষ। আর কার্ল? আমি ব্যাপারটা জানি, সে ভিভ রিচার্ডসকে এড়িয়ে চলতো।”