Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভোট দিতে যাবেন না, আহ্বান চরমোনাই পীরের

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন দলটির আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা প্রতীকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে এলেও এবার বিপরীত অবস্থান নিয়েছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তিন দিন আগে ভোট বন্ধ করা, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার পুরানা পল্টনে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন চরমোনাই পীর।

তিনি বলেন, “কেউ ভোট দেবেন না। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেন, যারা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের সম্মান করেন, তারা কেউ ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।”

বিএনপিসহ তাদের মিত্র দলগুলো এবারের ভোট বর্জন করছে। কয়েকটি বাম দলও ৭ জানুয়ারির ভোটে অংশ নিচ্ছে না। তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে।

নিজেদের অবস্থানের কারণ ব্যাখ্যা করে চরমোনাই পীর বলেন, “আমরা একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান চাই। আমরা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চাই। আমরা দেশের মানুষের অধিকার ফেরত পেতে চাই।”

সেজন্য ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম চালানোর কথা জানালেও ৭ জানুয়ারির পর ‘পরিস্থিতি বুঝে’ পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ‘পাতানো’ দাবি করে রেজাউল বলেন, “নৌকা, ঈগল, ট্রাক ইত্যাদি যা আছে, সবই শেখ হাসিনার লোক। সবাই আওয়ামী লীগের। এমনকি লাঙল, সোনালী আঁশ, নোঙরও শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট।”

সংসদ ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনি সংবিধান অনুযায়ী অবিলম্বে বিদ্যমান কলঙ্কিত জাতীয় সংসদ ভেঙে দিন। দেশবিরোধী প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করুন। বিরোধীদলের সম্মানিত নেতৃবৃন্দকে কারাগার থেকে মুক্তির উদ্যোগ নিন। সকল রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সরকার গঠনের উদ্যোগ নিন। নয়তো সম্ভাব্য বিপর্যয়ের দায় থেকে আপনিও রক্ষা পাবেন না।”

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে ইসলামী আন্দোলন। তাদের দাবিগুলো হলো— ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে হবে; বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে; নিবন্ধিত ও আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে; বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিতে হবে ও জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করবে; রাজনৈতিক কারণে বিরোধীদলের কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর মুক্তি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গোলাম মাওলা, আশরাফ আলী আকন, মাহবুবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত