ভোটের দিন রোববার কেউ বিদেশ যাচ্ছেন, তার ফ্লাইট দুপুরে; বিমান চলবে, তিনি বিমানবন্দরে যাওয়ার গাড়ি পাবেন? কিংবা কেউ ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, তিনি কি বাস কিংবা ট্রেন পাবেন?
৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় এই বিষয়গুলো নিয়ে নাগরিকদের অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন রয়েছে।
তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের আদেশগুলো ঘেঁটে দেখা যায়, ভোটের দিন চলাচলে খুব একটা নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। বাস, ট্রেন, বিমান, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিকই থাকবে। ফলে দূরপাল্লার চলাচলে বাধা নেই।
শহরগুলোতে গণপরিবহন চলাচল করবে। অর্থাৎ ভোটের দিন ঘর থেকে বের হলে বাস, অটোরিকশা, রিকশা পাওয়া যাবে।
তবে ভোটের দুই দিন আগে শুক্রবার ঢাকার রাস্তায় বাস তুলনামূলক কম দেখা গেছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটের কাজে পুলিশের রিক্যুইজিশনের ভয়ে অনেকে বাস নামাচ্ছেন না।
তবে মোটর সাইকেল নিয়ে কেউ বের হতে পারবেন না। এই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচন কাজে সংশ্লিষ্টরা অবশ্য এই দ্বিচক্রযান ব্যবহার করতে পারবে।
নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ট্যাক্সিক্যাবেও। ফলে উবার কিংবা পাঠাওয়ের মতো অ্যাপভিত্তিক সেবার গাড়ি নাও পাওয়া যেতে পারে।
ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে কোনো বিধি-নিষেধ না থাকলেও মাইক্রোবাস চলাচলে বিধি-নিষেধ থাকছে। পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ছাড়া অন্য ট্রাক কিংবা পিকআপভ্যান চলাচলও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
ভোট শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো জনসভা করা যাবে না।
বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নয়
নিরাপত্তার স্বার্থে যারা বৈধ অস্ত্র নিয়ে চলাচল করেন, তারা সেই অস্ত্র শুক্রবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বহন ও প্রদর্শন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে অস্ত্র বৈধ হলেও তা নিয়ে বের হওয়া যাবে না।
কেন্দ্রে দিয়াশলাই নয়
ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ভোটের দিন দিয়াশলাই, লাইটারসহ দাহ্য পদার্থ বহনে কড়াকড়ি আরোাপ করা হবে।