Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

টিভিতে শেখের বেটিকে দেখে হুইলচেয়ারে ভোটকেন্দ্রে বৃদ্ধা

SS-ummehani-vote-chair-07-01-24
[publishpress_authors_box]

বেগম উম্মেহানি জামানের পা ভাঙার পর পেরিয়ে গেছে ৮ বছর। এরপর থেকে হুইল চেয়ারেই বন্দি জীবন। এই লম্বা সময়ে শুধু হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া আর কখনও বাসার নিচে নামেননি তিনি।

এখন বয়স হয়েছে ৬৯ বছর। চলাফেরায় কষ্ট আরও বেড়েছে। তারপরও হুইল চেয়ারে করে ভোট দিতে মহাখালীর টিবি রোডের বাসা থেকে চলে এসেছেন টিঅ্যান্ডটি কলেজের ভোটকেন্দ্রে।

শীতের সকালে অসুস্থ শরীর নিয়ে কেন এসেছেন – প্রশ্ন করতেই খুলে দিলেন গল্পের ঝাঁপি। কথায় কথায় জানা গেল, উম্মেহানির বাড়ি গোপালগঞ্জ। কবে ঢাকায় এসেছেন তা বলতে হলে হিসাব করতে হবে। ছেলেমেয়ের জন্ম, লেখাপড়া সবই ঢাকায়।

মেয়ে পড়াশোনা করত টিঅ্যান্ডটি গার্লস স্কুলে, এরপর টিঅ্যান্ডটি কলেজে। সে সুবাদে এ গলিতে প্রতিদিন যাতায়াত করা হতো দুইবার করে। তখন থেকেই এ গলির ধূলিকণাও তার পরিচিত হয়ে যায়।

গত ৮ বছরে এ রাস্তায় পা পড়েনি এই ভোটারের। মূলত এই লম্বা সময়ে শুধু হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও যাওয়াও হয়নি তার।

৪ তলার ফ্ল্যাট থেকে উঠা-নামা করার কষ্ট কম নয়। তাই আজও প্রথমে ভোট দিতে আসবেন না ভেবেছিলেন উম্মেহানি। নাতিরা ভোটের কথা বললেও না করে দিয়েছিলেন। কিন্তু উম্মেহানি জামানের এ সিদ্ধান্ত বদলে যায় টিভিতে খবর দেখে।

তিনি বলেন, “আরাম করে চা খাচ্ছিলাম। টেলিভিশনে দেখলাম শেখের বেটি, আমার হাসিনা আপা ভোট দিতে গেছে সিটি কলেজে। দেখে বললাম, হাসিনা আপা, আমাগো শেখের বেটি ভোট দিতে এসেছে, আমি যাবই যাব।

“তাড়াতাড়ি গোসল করে, রেডি হয়ে চলে এলাম। ভোটটা দিয়েই আসি, পরেরবার আর ভোট দিতে পারি কিনা! বয়সতো অনেক হলো…।”

এরপরই নাতিদের বলেন, “নিয়ে চল আমাকে, নৌকায় ভোটটা দিয়ে আসি।”

মনোযোগী শ্রোতা পেয়ে গল্প ফুরায় না উম্মেহানির। চোখে মুখে ভোট দিতে আসার আনন্দ। জানা গেল গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার বাড়ির পাশেই তার বাড়ি। বলেন, “আমরা একই এলাকার, একই মহল্লার। তার(শেখ হাসিনা) বাসা ব্যাংকপাড়া, আমার বাসা বাজাররোড।“

দেশের নাগরিক হিসেবে ভোট না দিলে দায়িত্ব পালন হবে না জানিয়ে উম্মেহানি বলেন, “আমি নৌকার সমর্থক। কেবল আমি একা না, আমার বাপ, দাদাসহ চৌদ্দগোষ্ঠী নৌকা। ভোট দেওয়া আমার নৈতিক দায়িত্ব, নাগরিক দায়িত্ব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত