সাধারণত আষাঢ় মাসের শুরু থেকে সারাদেশে নিয়মিতভাবে বৃষ্টি হয়। তবে এবারের আষাঢ় কিছুটা ব্যতিক্রম। এরই মধ্যে পেরিয়েছে বর্ষা শুরুর এই মাসটির আটদিন। সিলেটসহ দেশের কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টি হলেও সেই অর্থে সারাদেশে বৃষ্টি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই কমেনি গরম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত দুদিন। এরপর সারাদেশেই ভারি বৃষ্টির আভাস রয়েছে। যার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা শীতল হবে পরিবেশও।
শনিবার বিকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বৃষ্টিতো হচ্ছে, কিন্তু সেটা আসলে বলার মতো না। ঢাকার আকাশে সকালে মেঘ থাকলেও সেটি কেটে যায়, রোদ ওঠে। তবে কোথাও কোথাও এই মেঘ-রোদের সঙ্গেও বৃষ্টি ছিল হালকা।
“ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুরের কিছু জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে, সকালের দিকে বৃষ্টি হয়েছে ঢাকাতেও। ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৫ মিলিমিটার।”
কিন্তু আষাঢ়ের মূল বৃষ্টি এখনও হয়নি, আরও কয়েকদিন পর হবে বলে জানালেন তিনি।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, শনিবার ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গায় দমকা বাতাসসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বর্জ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
“আপাতত সব জায়গাতেই হালকা-পাতলা বৃষ্টি হবে। আর ভারি বর্ষণ না হলে গরম কমবে না। সারাদেশে একযোগে ভারি বৃষ্টি হলে তবেই তাপমাত্রা কমবে, গরম কমবে। ঢাকাসহ সারাদেশেই ভারি বৃষ্টি হবে ২৫ অথবা ২৬ তারিখের পর।”
বন্যা কবলিত সিলেট বিভাগে আবারও ভারি বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওখানে গতকাল, আজ ভারি বৃষ্টি হয়নি, আগামীকালও হবে না। কিন্তু তারপর বাড়বে। সেটাই মূল চিন্তার বিষয়।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্য স্থানে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।