অবসরে গেলেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিচ্ছেন ওয়াকার-উজ-জামান।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাপ্রধান নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হয়।
বর্তমানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসাবে সেনাবাহিনীতে চিফ অব জেনারেল স্টাফের (সিজিএস) দায়িত্ব পালন করছেন ওয়াকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদোন্নতি নিয়ে জেনারেল হয়ে আগামী ২৩ জুন সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেবেন তিনি।
আগামী তিন বছরের জন্য ওয়াকারকে সেনাপ্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
একই দিন আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বর্তমান সেনাপ্রধান শফিউদ্দিনের চাকরির বয়স পার হওয়ায় তাকে অবসর দেওয়া হয়।
তাতে বলা হয়, ২৩ জুন তার নিয়োগের মেয়াদ পূর্ণ হবে বলে ছুটি পাওনা সাপেক্ষে তার অনুকূলে এক বছরের অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটি মঞ্জুর এবং সেই ছুটি শেষে অবসর সংক্রান্ত আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ তাকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।
নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমানের জামাতা। জেনারেল মুস্তাফিজ ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৬৬ সালে শেরপুরে জন্ম নেওয়া ওয়াকার ১৯৮৫ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে পড়াশোনার পর লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।
তিনি ২০১৭ সালে সেনা সদর দপ্তরের সামরিক সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের (পিএসও) দায়িত্বও পালন করে এসেছেন তিনি। তার আগে তিনি নবম পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে ছিলেন।
ওয়াকার অ্যাঙ্গোলা ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করে এসেছেন।
প্রতিরক্ষা-বাহিনীসমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন, ২০১৮ অনুসারে তিন বাহিনীর প্রধানের অবসরের ক্ষেত্রে বয়সসীমা খাটে না।
আইনে আছে, কেউ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার দিন থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাবেন এবং ছুটির মেয়াদ শেষে তিনি অবসরপ্রাপ্ত হবেন।
সে অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত সেনাপ্রধানের পদে থাকবেন ওয়াকার।
তবে আইনে এটাও আছে, রাষ্ট্রপতি নিয়োগের মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার আগে তিন বাহিনীর প্রধানদের অবসরে পাঠাতে পারবেন।