ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামার প্রস্তুতি চলছিল ডেভিড ওয়ার্নারের। বিদায়ী ম্যাচের আগে আবেগপ্রবণ থাকাই স্বাভাবিক। সেই আবেগে দুঃখের ছটা লাগে ক্যাপ হারিয়ে। শেষ টেস্ট খেলতে নামার আগেই প্রিয় ব্যাগি গ্রিন ফিরে পাবেন, এই আশায় ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ক্যাপ খুঁজতে কাজে লেগে পড়ে গোয়েন্দা সংস্থা। কয়েকদিনের নাটকীয়তার পর অবশেষে ওয়ার্নারের কাছে ফিরেছে তার দুটো ক্যাপ।
সিডনিতে চলছে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের তৃতীয় টেস্ট। এই ম্যাচ শেষেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ওয়ার্নার। তার ব্যাগি গ্রিন পাওয়া গেছে সিডনিতেই। কিন্তু কিভাবে ক্যাপ উদ্ধার হয়েছে, সেটি রহস্য হয়েই থাকল। ইনস্টাগ্রাম বার্তায় ওয়ার্নার নিশ্চিত করেছেন ক্যাপ ফিরে পাওয়ার কথা। তবে কিভাবে তার হাতে এসে পৌঁছেছে, সেটি জানাননি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাগি গ্রিন হাতে ওয়ার্নার বলেছেন, “খুশি ও স্বস্তি মনে জানাচ্ছি, আমি আমার ব্যাগি গ্রিনগুলো ফিরে পেয়েছি। যেটি দারুণ খবর। গত কয়েকদিন ধরে কাঁধে বোঝা চেপে ছিল। প্রত্যেক ক্রিকেটারই জানে ক্যাপ তাদের কাছে কতটা স্পেশাল। এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।”
ক্যাপ খুঁজে পেতে সহযোগিতা করা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই ওপেনার, “এটা উদ্ধার করতে জড়িত থাকা কান্টাস (এয়ারলাইন্স), পরিবহন প্রতিষ্ঠান, হোটেল ও আমার টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি সত্যিই তাদের হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
গত মঙ্গলবার ওয়ার্নার জানান, মেলবোর্ন থেকে সিডনিতে আসার পথে তার একটি ব্যাগ হারিয়ে গেছে। যার মধ্যে আছে তার দুটি ব্যাগি গ্রিন। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেকের ক্যাপের সঙ্গে আরেকটি ব্যাগি গ্রিন ছিল ব্যাগটিতে।
বিষয়টি মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া থেকে ক্রিকেট বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজির নজরেও পড়ে খরবটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লেখেন, “ব্যাগি গ্রিন মিসিং? আচ্ছা, এটা শুধু ক্রিকেট নয়। ডেভিড ওয়ার্নার ১০০টিও বেশি (টেস্ট) ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। শেষবারও তার এটা পরার অধিকার রয়েছে। আপনি যদি সাহায্য করতে পারেন, তাহলে করুন।”