মাইলফলকের ম্যাচগুলো কীভাবে রাঙাতে হয় ডেভিড ওয়ার্নারের চেয়ে ভালো জানেন কে?
২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে শততম ওয়ানডেতে ওয়ার্নার করেছিলেন ১২৪ রান। অস্ট্রেলিয়া ২১ রানে জিতলে ম্যাচ সেরা হন ওয়ার্নার।
২০২২ সালে মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শততম টেস্টেও ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ও ১৮২ রানের জয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ওয়ার্নার।
২০২৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি টি-টোয়েন্টিতেও শততম ম্যাচের মাইলফলকে পা রাখলেন ওয়ার্নার। শুক্রবার হোবার্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচেও বিস্ফোরক ওয়ার্নার। ৩৬ বলে ১২ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় খেললেন ৭০ রানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়া পায় ৭ উইকেটে ২১৩ রানের পুঁজি।
জবাবে ভালো শুরু করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে ৮ উইকেটে ২০২ রানে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া পায় ১১ রানের জয়। ম্যাচ সেরার পুরস্কার যথারীতি ওয়ার্নারের। অথচ এই ফরম্যাটে শুক্রবার প্রায় এক বছর পর খেললেন ওয়ার্নার! দুই দল মিলে করেছে ৪১৫ রান। এই দুই দলের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৯১ রান।
রান উৎসবের ম্যাচেও জাম্পা নেন ২৬ রানে ৩ উইকেট। বল হাতে তিনিই শেষ দিকে গড়ে দেন ম্যাচের ভাগ্য। ব্রেন্ডন কিং ৫৩, জনসন চার্লস ৪২ আর শেষ দিকে জেসন হোল্ডার খেলেন ১৫ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস। শেষ ওভারে জয়ের জন্য উইন্ডিজের দরকার ছিল ২৭ রান। কিন্তু অ্যাবটের ওভার থেকে তারা নিতে পারে ১৫।
ক্রিকেট ইতিহাসে তিন ফরম্যাটেই ১০০ বা বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার এখন মাত্র তিন জন। নিউজিল্যান্ডের রস টেলর ও ভারতের বিরাট কোহলির পর আজ (শুক্রবার) এই মাইলফলকে পা রাখলেন ওয়ার্নার।
টেলর টেস্ট খেলেছেন ১১২, ওয়ানডে ২৩৬ আর টি-টোয়েন্টি ১০২টি। বিরাট কোহলির টেস্ট ১১৩, ওয়ানডে ২৯২ আর টি-টোয়েন্টি ১১৭টি। আর ওয়ার্নার টেস্ট খেলেছেন ১১২, ওয়ানডে ১৬১ ও টি-টোয়েন্টি ১০০টি।
টেলর ও কোহলি শততম তিন ফরম্যাটের ম্যাচেই ফিফটি পাননি। ওয়ার্নার সেখানে ফিফটির বেশি রান করে গড়লেন অনন্য কীর্তি।
টি-টোয়েন্টি দিয়েই ২০০৯ সালে ওয়ার্নারের অভিষেক হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে । প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে জাতীয় দলের জার্সিতে নেমেছিলেন তিনি। ১৫ বছর পর আজ খেললেন শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
ওয়ার্নার অবশ্য অবসর নিয়েছেন টেস্ট থেকে। অস্ট্রেলিয়া না চাইলে খেলবেন না ওয়ানডে। তবে টি-টোয়েন্টি চালিয়ে নিতে চান অন্তত বিশ্বকাপ পর্যন্ত।