টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। গত জানুয়ারিতে খেলেছেন লাল বলের ক্রিকেটের শেষ ম্যাচ। তবে কয়েক মাস যেতেই অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত তার। খেলতে চান ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টেস্ট সিরিজে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং সমস্যার সমাধানে একটা ফোনকলের অপেক্ষায় তিনি। শুধু কি এটাই কারণ নাকি ভারতের বিপক্ষে দুঃখ জুড়ানোর আরেকটি সুযোগ তৈরির পথ খুঁজছেন ওয়ার্নার?
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ওয়ার্নার। মাঠে ফিরে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে দুই দফা খেললেও তাকে ডুবতে হয়েছে হতাশায়। ২০২১ সালে ঘরের মাঠের সিরিজের ২ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৬৭ রান। দুই বছর পর ভারতের মাটিতে ২ টেস্টে তার অবস্থা আরও করুণ, করেছিলেন মাত্র ২৬ রান।
অথচ এই ভারতের বিপক্ষে তার কী চমৎকার পরিসংখ্যান ছিল। বল টেম্পারিংয়ের আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির কথাই ধরা যাক। সেবার ৪ টেস্টে ৫৩.৩৭ গড়ে ৪২৭ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। সেঞ্চুরি ছিল তিনটি।
যদিও সবশেষ দুই সিরিজে একেবারেই ব্যাট হাসেনি ওয়ার্নারের। এবার যখন ভারত আবারও অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছে, তখন অতীত ভোলার চেষ্টা থেকেও অবসর ভাঙার ইচ্ছাপোষণ করতে পারেন এই ওপেনার। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্নারের পারফরম্যান্সও ভালো। ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খেলা ১০ টেস্টে তার গড় ৪২.২২। পেয়েছেন চারটি সেঞ্চুরি।
ভারত সিরিজে অবসর ভাঙার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি এভাবে “আমি সবসময়ই এভেইলেবল আছি। শুধুমাত্র ফোন ধরার অপেক্ষায় আছি। আমি সবসময়ই ভীষণ সিরিয়াস।” যদিও তার ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ওয়ার্নার অবসর ভেঙে টেস্ট ফিরতে চাইলেও ‘সম্মতি’ মিলছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।
এই ওপেনার জানিয়েছেন, কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলিকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে আশানুরূপ উত্তর মেলেনি। ওয়ার্নার জানিয়েছেন, ম্যাকডোনাল্ড তাকে জানিয়েছে, “তুমি তো অবসরে।”