Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের হাত নেই : হোয়াইট হাউজ

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেস সচিব জ্যঁ-পিয়ের।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেস সচিব জ্যঁ-পিয়ের।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

বাংলাদেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানের দপ্তর থেকে।

প্রেসিডেন্ট জো  বাইডেনের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়ের সোমবার বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবে জড়িত নয়।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার সঙ্গে ওয়াশিংটনের টানাপড়েন চলছিল। গত বছর তিনি বলেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তার এক বার্তা ধরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করে, শেখ হাসিনা তার ক্ষমাচ্যুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন।

পরে শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় অবশ্য এই বার্তা বানোয়াট বলে দাবি করেন।

তবে সোমবার হোয়াইট হাউজের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনার কথিত অভিযোগ ধরে বাংলাদেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তন নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রেস সচিব জ্যঁ-পিয়েরকে।

ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইর ললিত ঝার প্রশ্নটি ছিল- “বাংলাদেশ এবং ভারত নিয়ে আমার দুটি প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মিত্রদের বলেছেন, তাকে জোর করে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে কারণ দেশটির একটি দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল। যেহেতু হাসিনা সরকার দ্বীপটি ওয়াশিংটনকে দিতে রাজি হননি, তাই তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।”                  

জবাবে জ্যঁ-পিয়ের বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কোনোভাবেই কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সর্বেব মিথ্যা। এটা সত্য নয়।”

তিনি বলেন, “ক্ষমতায় কে থাকবে-এই সিদ্ধান্ত কেবল বাংলাদেশিরাই নেবে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ এবং এটাই আমাদের অবস্থান।”

শেখ হাসিনার বিদায়ের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, তার প্রতি সমর্থন এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের কয়েকটি স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়টিও তোলেন ভারতীয় সাংবাদিক ললিত।

তিনি বলেন, “হোয়াইট হাউসের সামনে বেশ কয়েকটি হিন্দু আমেরিকান সংগঠন বিক্ষোভ করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেন।

“এমনকি ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই হিন্দু আইনপ্রণেতা রাজা কৃষ্ণমূর্তি ও শ্রী থানেদার বাইডেন প্রশাসনের কাছে চিঠিও লিখেছেন। চিঠিতে বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিষ্ঠুরতা বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন তারা।”

এ বিষয়ে জ্যঁ-পিয়ের বলেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারছি না।

“তবে কোনও ধরনের মানবাধিকারের ইস্যু থাকলে প্রেসিডেন্ট বরাবরই প্রকাশ্যে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে জোরালভাবে স্পষ্ট কথাই বলেছেন। তিনি এটা করতে থাকবেন। তবে এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলার নেই।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত