ওয়াশিংটন পোস্টের নির্বাহী সম্পাদকের পদ ছাড়লেন স্যালি বাজবি। তিনি ছিলেন পত্রিকাটির শীর্ষ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করা প্রথম নারী। মাত্র তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি সরে দাঁড়ালেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, স্যালির স্থলাভিষিক্ত হবেন দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাবেক প্রধান সম্পাদক ম্যাট মারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ম্যাট মারে একাই এই দায়িত্বে থাকবেন।
এরপর টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের ডেপুটি এডিটর রবার্ট উইনেটও নিউজরুমের কার্যক্রম পুনর্গঠন করার পাশাপাশি একজন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট স্যালির চলে যাওয়ার কোনও কারণ জানায়নি। এ ব্যাপারে তিনি নিজেও কিছু বলেননি। স্যালির আগে পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক মার্টিন ব্যারন।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাবেক শীর্ষ সম্পাদক স্যালি বাজবিকে ২০২১ সালের মে মাসে ওয়াশিংটন পোস্টের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সময় পত্রিকাটি জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ওঠে।
স্যালি বাজবি ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের ১৫০ বছরের মধ্যে প্রথম নারী নির্বাহী সম্পাদক। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম নারী সম্পাদক জিল আব্রামসনের মতো তার মেয়াদও ছিল সংক্ষিপ্ত। অ্যাব্রামসনও ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মাত্র তিন বছরের জন্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পদাক ছিলেন।
কয়েক বছর ধরে ওয়াশিংটন পোস্টসহ যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র শিল্প আর্থিকভাবে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকাটির নতুন প্রকাশক উইল লুইস গত মাসে কর্মীদের বলেছিলেন, সংবাদপত্রটি গত বছর ৭৭ মিলিয়ন ডলার লোকসান গুনেছে।
লুইস বলেন, “সত্যি বলতে আমরা একটি গর্তে রয়েছি এবং তা বেশ কিছু সময় ধরেই আছি।”
গত বছরের শেষের দিকে ফ্রেড রায়ানকে সরিয়ে লুইসকে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশক করা হয়। তিনি ইংল্যান্ডের দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও দ্য টেলিগ্রাফ উভয়েই কাজ করেছেন, যেখান থেকে তিনি পত্রিকাটির জন্য নতুন নির্বাহীদেরও নিয়ে আসছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বর থেকে ম্যাট মারে নব-সৃষ্ট বিভাগের নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কারোরই নির্বাহী সম্পাদকের পদ থাকবে না। মারে, উইনেট ও ডেভিড শিপলি, যারা সম্পাদকীয় পৃষ্ঠার সম্পাদক ও ‘মতামত নিউজরুম’ এর নেতৃত্ব দেবেন, প্রত্যেকেই সরাসরি লুইসের কাছে রিপোর্ট করবেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট গত মাসে তিনটি পুলিৎজার পুরষ্কার জিতেছে। এর মধ্যে একটি পুরস্কার জিতেছে এআর-১৫ রাইফেলের প্রভাব নিয়ে একটি দারুণ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য।
তথ্যসূত্র : এনবিসি