তিস্তা নদীর পানি বেড়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
শনিবার সকালে তাদের বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং জেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল ও কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
তবে পরবর্তী দুই দিনে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অন্যান্য নদ-নদীসহ রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে।
আগামী দুই দিন চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে জানিয়ে বুলেটিনে বলা হয়, এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, গোমতী ও ফেনী নদীর পানির বাড়তে পারে, তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বঙ্গোপসাগর এলাকায় কোনও লঘুচাপ না থাকায় আগামী ৩ দিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক জোয়ার পরিলক্ষিত হতে পারে।
এদিকে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে জানিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।