তীব্র গরমে নাভিঃশ্বাস ওঠা জনজীবনে স্বস্তির কোনও বার্তা নেই; বরং গরম আরও বাড়ার আভাসই এসেছে।
গত শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর তাপপ্রবাহের কারণে সতর্কতা জারি করেছিল। সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর আরও তিন দিনের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
মঙ্গলবার অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
শুধু যে তাপমাত্রা বাড়বে তা নয়, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমের অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আগামী পাঁচ দিনে পরিস্থিতির যে কোনও উন্নতি হবে, তেমন আভাসও দিতে পারছে না আবহাওয়া বিভাগ।
অধিদপ্তরের মঙ্গলবার সকালের বুলেটিনে বলা হয়েছে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে এখন। রাজশাহী টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বাকি জেলাগুলোতে।
তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠলে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। সেখানে থার্মোমিটারে পারদ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। যশোর, টাঙ্গাইল, রাজশাহী ও পাবনায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল।
ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। তবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮১ শতাংশ হওয়ায় গরম হাঁসফাঁস অবস্থা এখন রাজধানীবাসীর।
গরমের অস্বস্তি যে বৃষ্টিতে কাটবে, তেমন ইঙ্গিতও দিচ্ছে না আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
বুধবার বৃষ্টির আভাস রয়েছে শুধু সিলেটে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু সিলেটেই বৃষ্টি হয়েছে, তার পরিমাণ ছিল ৫৬ মিলি মিটার।
সিলেটে তাপমাত্রা অন্য জেলাগুলোর তুলনায় কম। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ছিল ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি। যেখানে ঢাকায় তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রির নিচে নামেইনি।