Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

৩ দিন ভারি বৃষ্টির আভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা

Ss-rain-dhaka-11-7-24
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

বাংলা পঞ্জিকায় এখন আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহ। মাঝে কয়েকদিনের বিরতি নিয়ে এসময় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মৌসুমী বায়ু। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর প্রভাবে দেশের পাঁচ বিভাগে আগামী তিন দিন ভারি বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে ধসের শঙ্কা।

পূর্বাভাস সত্যি করে এদিন সকালের পরপরই দেশের কয়েক জায়গায় কালো হয়ে উঠে আকাশ, এক পশলা বৃষ্টিও হয় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলবে বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান এক বার্তায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে পরের ৪৮ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

বার্তায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কার কথাও বলেছেন তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারে ৯২, নীলফামারীতে ৭৩, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৬৪, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে ৫৬ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে ভারি বৃষ্টি বলতে ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার আর অতি ভারি বৃষ্টি বলতে ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতকে বোঝায়।

এমন বৃষ্টির কারণে সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়েছে।

সিলেটে বন্যার পানি নামছিল, এই সময়ে বৃষ্টিপাত আবার বেড়ে যাওয়ায় সেখানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানি সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে। ওই সব অববাহিকা ও উজানে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদন বলছে, দেশের নদ-নদীর ১১০টি পয়েন্টের ৬১টিতে পানি বাড়ছে আর ৪৭টিতে পানি কমছে। এর মধ্যে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও সুরমার পানি বিপৎসীমার ৪০ থেকে ৪৫ মিলিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আবার অতি ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত