Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে উইন্ডিজের দুয়ে দুই

দাপুটে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: টুইটার
দাপুটে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: টুইটার
[publishpress_authors_box]

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় প্রথমবার সুযোগ পেয়েছে উগান্ডা। ক্রিকেট ঐতিহ্য কিংবা শক্তির পার্থক্যে তাদের থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেক এগিয়ে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্যারিবীয়দের আরও দাপট। সেটা কতটা, উগান্ডা হাড়ে হাড়ে টের পেল। আফ্রিকার দেশটিকে উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

রবিবার (৯ জুন) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে উগান্ডা গুটিয়ে গেছে মাত্র ৩৯ রানে। তাতে লজ্জার এক রেকর্ড যোগ হয়েছে উগান্ডার নামের পাশে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো দলের যৌথভাবে সর্বনিম্ন সংগ্রহ এটি। এতদিন এই জায়গায় একাই ছিল নেদারল্যান্ডস। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রানে অলআউট হয়েছিল ডাচরা।

ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়রা পেয়েছে ১৩৪ রানের বিশাল জয়। আগে ব্যাট করে স্বাগতিকরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে করেছিল ১৭৩ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আকিল হোসেনের ঘূর্ণিতে ৩৯ রানে গুটিয়ে যায় উগান্ডা।

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সাফল্য ও খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত ফর্ম- সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই দলের সামনে উগান্ডা কতটা প্রতিরোধ গড়তে পারে, সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু বিশ্বকাপে জায়গা তৈরি করে চমক তৈরি করা আফ্রিকার দেশটি করল অসহায় আত্মসমর্পণ।

তবে বোলিংটা মন্দ হয়নি উগান্ডার। কুড়ি ওভার ফরম্যাটের সেরা খেলোয়াড়দের খুব বেশি সুবিধা করতে দেয়নি। ক্যারিবিয়ান কোনও ব্যাটারই তাণ্ডব চালাতে পারেননি।

জনসন চার্লসের মতো পাওয়ার হিটার ৪২ বলে করেছেন ৪৪ রান। তার ওপেনিং সঙ্গী ব্রেন্ডন কিং করেন ১৩ রান। নিকোলাস পুরান ১৭ বলে ২২, রোভম্যান পাওয়েল ১৮ বলে ২৩ ও শেরফান রাদারফোর্ড ১৬ বলে করেন ২২ রান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কথা বললে রাসেলের ব্যাট ছিল একটু ধারাল। ১৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৩০ রান।

উগান্ডার আলপেশ রামজানি ৩ ওভারে ১৬ রানে নেন ১ উইকেট। তবে উইকেটসংখ্যায় সবচেয়ে সফল ব্রায়ান মাসাবা। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট।

১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উগান্ডার শুধু এক ব্যাটার যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন জুমা মিয়াজি।

আকিলের ঘূর্ণির সামনে কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ম্যাচসেরার পুরস্কার তার হাতেই মানায়। এছাড়া আলজারি জোসেফ ৩ ওভারে ৬ রানে নেন ২ উইকেট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত