গ্রুপ পর্বে দাপট দেখিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে সুপার এইট শুরু হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এবারের বিশ্বকাপের দুই আয়োজক দেশের মুখোমুখিতে উত্তেজনাকর লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল। তবে ক্যারিবিয়ানদের একতরফা পারফরম্যান্সে যুক্তরাষ্ট্র নীরব দর্শক হয়ে থাকল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তাণ্ডবে রীতিমতো বিধ্বস্ত আমেরিকানরা।
শনিবার (২২ জুন) বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে যুক্তরাষ্ট্রকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাট করা যুক্তরাষ্ট্র ১৯.৫ ওভারে ১২৮ রানে অলআউট হয়। সহজ এই লক্ষ্য শাই হোপের তাণ্ডবে ১০.৫ ওভারে টপকে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানকে বিদায় করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে, তবে ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ১৭৬ পর্যন্ত গিয়েছিল তারা। লড়াইয়ের মানসিকতা ছিল ওই ম্যাচেও। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ইনজুরিতে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে ব্রেন্ডন কিংয়ের। তার জায়গায় ওপেনিংয়ে নামানো হয় শাই হোপকে। সুযোগটা তিনি কী চমৎকারভাবেই-না কাজে লাগালেন। যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ওপর টর্নেডো বইয়ে দিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। নির্দয় ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলে খেলেন ৮২ রানের ইনিংস, যাতে আছে ৪ বাউন্ডারির সঙ্গে ৮ ছক্কার মার।
তার সঙ্গে জয় নিশ্চিত করা নিকোলাস পুরান ১২ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। ক্যারিবিয়ানদের হারানো একমাত্র উইকেটটি জনসন চার্লস, ১৪ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই স্টিভেন টেলরের (২) উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ওই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা। কিন্তু রোস্টন চেসের চমৎকার বোলিংয়ে হিসাব পাল্টে যায়। ডানহাতি স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। চমৎকার পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তারই হাতে। আন্দ্রে রাসেলও পেয়েছেন ৩ উইকেট।
তাদের দাপুটে বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে ওপেনার অ্যান্ড্রিয়েস গউসের ব্যাট থেকে। ১৬ বলে ২৯ রান করেন তিনি। এছাড়া নিতিশ কুমার ১৯ বলে করেন ২০ রান।