সংবাদ সম্মেলনের প্রায় শেষের দিকে ফ্লোর দেওয়া হলো বাফুফের নির্বাহী কমিটি ও জাতীয় দল কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। আর ভরা সংবাদ সম্মেলনে খোদ বাফুফে সভাপতির খুব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শাহীন জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার পদত্যাগ চাইবেন তা অপ্রত্যাশিতই বটে।
ঘরের মাঠে ১০ জুন সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে বাংলাদেশের হারের পর কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কৌশল নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা। সমর্থক থেকে শুরু করে সাবেক ফুটবলাররা কাটাছেঁড়া করছেন তাঁকে। বাফুফের মধ্যেও এনিয়ে রয়েছে অন্তর্কোন্দল। যা প্রকাশ্যে এলো শাহীনের মাধ্যমে।
বিপরীতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল কোনো কিছুই খোলাসা করেননি। শাহীনের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, “ যেটা হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক। এটা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব।”
সিঙ্গাপুর ম্যাচের পরদিন কাবরেরা ছুটি কাটাতে চলে যান স্পেনে। সেই ম্যাচ নিয়ে পরে জাতীয় কমিটি পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন, “বিষয়টা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলব। এটা আসলে এখনও প্রি-ম্যাচিউর প্রশ্ন এবং উত্তর দিলেও প্রি-ম্যাচিউর হবে। আমাদের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। যেখানে জাতীয় দল কমিটি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে। সেখানে কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট সবাই জড়িত। মূল্যায়নের পর আপনাদের প্রশ্ন নেওয়া যাবে এবং উত্তরও দেওয়া যাবে। বর্তমানে আমরা প্রক্রিয়া মেনে এগোচ্ছি।’

চুক্তি অনুযায়ী কাবরেরা বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকবেন আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত। সাড়ে তিন বছরে ৩২ ম্যাচে ডাগআউটে থেকেছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পেছনে দায় কার? ম্যাচ শেষে এমনই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কোচ কাবরেরার কাছে। তেমন কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এমনকি কারও ঘাড়ে দোষও চাপিয়ে দেননি। তবে সমালোচকেরা সবচেয়ে বড় দায়টা দিচ্ছেন তাঁর ওপরই।
বাফুফের মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তাই শাহীন বলেন, “জাতীয় দল কমিটির সদস্য হিসেবে আমি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করতে কাবরেরার পদত্যাগ চাচ্ছি। কোচকে সরানোই আমার এজেন্ডা।”
নি কাবরেরার কৌশলের সমালোচনা করে বলেন, “কাবরেরা খেলার ১০ দিন আগে আসে। এভাবে এসে তিনি আসলে কতটা কাজ করতে পারেন সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। এখানে ফুটবলার সাজানো আছে। আমাদের টিমে অনেক ভালো ফুটবলার আছে। কিন্তু কাবরেরা সিন্ডিকেট করে টিম করে রেজাল্ট নষ্ট করে। আজ আমি নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে পদত্যাগ চাই। কারণ দেশের স্বার্থে সবার সঙ্গে একমত হয়েছি যে তার পদত্যাগ চাই।”