Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

প্রজেক্ট-২০২৫ : যুক্তরাষ্ট্রের খোলনলচে পাল্টানো প্রকল্প

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের দেশটির ক্ষমতায় আসছেন বলে আভাস মিলছে জরিপগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের দেশটির ক্ষমতায় আসছেন বলে আভাস মিলছে জরিপগুলোতে।
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী নভেম্বরে। ভোটাভুটির সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনী উত্তেজনা ও প্রতিশ্রুতির পারদ চড়ছে। বাইডেন নাকি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসবেন, এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।

সিএনএন আয়োজিত বিতর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর বেকায়দায় আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাকে এখন নিজের প্রার্থিতা টিকিয়ে রাখতে ডেমোক্র্যাট কর্তাব্যক্তি ও দাতাদের সামলাতে হচ্ছে।

আর এই সুযোগে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার দল ‘প্রজেক্ট-২০২৫‘ বা প্রকল্প-২০২৫ নামে ডানপন্থী শাসন মডেলের একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছে। দেশটির মিডিয়াগুলো বলছে, এই ব্লুপ্রিন্টেই বোঝা যাচ্ছে ট্রাম্প তার প্রশাসন কেমন করে সাজাতে পারেন ক্ষমতায় এলে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের খোলনলচে বদলে ফেলার বিভিন্ন বিষয়াদিও আছে এতে।

ব্লুপ্রিন্টটির প্রতি সবার আগ্রহের অন্যতম কারণ এটি তৈরিতে বা এর পরিকল্পনার নেতৃত্বে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির নামকরা রক্ষণশীল থিংক ট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। ৫১ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ট্রাম্পের মিত্র কেভিন রবার্টস।

অভিযোগ আছে, হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রক্ষণশীলদের পদায়ন করতে গোপনে কাজ করে। এজন্য তারা নির্ধারিত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়। বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটি ওই প্রার্থীদের কাছে শুধু আনুগত্য দাবি করে।

এজন্য ট্রাম্পের শাসন পরিকল্পনার ব্লুপ্রিন্ট হেরিটেজ ফাউন্ডেশন তৈরি করায় চিন্তার ভাজ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজনীতিকের কপালে। যদিও ট্রাম্প সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে, প্রজেক্ট-২০২৫ এর পেছনে কে বা কারা কাজ করেছে তা তিনি জানেন না।

অবশ্য সিএনএন বলছে, এই প্রকল্পের পেছনে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অন্তত ১৪০ জন কর্মকর্তা কাজ করেছেন।

ব্লুপ্রিন্টে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানো ও ‘উদারপন্থীদের’ চালু করা নাগরিক পরিষেবাগুলো বাতিলের পরামর্শসহ ফেডারেল সরকারে নাটকীয় পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এতে মূলত ‘ডিপ স্টেট’ ভেঙে ফেলার ওপর বহুলাংশে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারেও নির্দেশনা আছে, যেখানে চীনের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।

চীনকে ‘আমেরিকানদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিপদ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এছাড়া পারমাণু অস্ত্র উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য কর্মসূচি কমানোর বিষয়টিও জায়গা পেয়েছে।

প্রকল্প-২০২৫ বিশ্বে আমেরিকার অবস্থান কীভাবে দেখে

প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে প্রকল্প-২০২৫ এর লক্ষ্য হল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের নীতি থেকে সরে আসা।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষদিকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ক্রিস্টোফার মিলার এতে বাইডেনের শাসনকালের ব্যাপক নিন্দা করেন। তার মতে, বাইডেনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্ষয় এবং জাতির সক্ষমতা ও ইচ্ছার বিপজ্জনক অবনতি’ ঘটেছে।

মিলার বলেন, “আফগানিস্তান থেকে বিপর্যয়কর সেনা প্রত্যাহার, চীন নিয়ে অস্পষ্ট কৌশল, রাজনৈতিক অঙ্গনে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা এবং সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভীর বিভ্রান্তি, ইত্যাদির মধ্যেই এই অবনতির লক্ষণ স্পষ্ট।”

পররাষ্ট্রনীতিতে প্রকল্প-২০২৫ এর প্রধান পরামর্শ

চীনকে ঠেকানো: প্রকল্পে চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রধান প্রতিরক্ষা উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মিলারের আশঙ্কা, চীন ব্যাপকভাবে নিজের সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে, ফলে দেশটি পারমাণু শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ বা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মিলার তাইওয়ান ও ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো মিত্রদের চীনের প্রভাব বলয়ে চলে যাওয়া ঠেকাতে চান। তার ভাষায়, “দেশগুলোকে নিয়ে একটি ভারসাম্য রক্ষাকারী জোট তৈরি করে এশিয়ার ওপর বেইজিংয়ের আধিপত্য রোধ করতে হবে।”

প্রকল্প-২০২৫ এ চীনকে প্রধান হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হলেও মিলার রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়াকেও আমলে আনেন। এজন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে তার ইউরোপ ও এশিয়ার মিত্রদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।

পারমাণু অস্ত্র বাড়ানো : প্রকল্প-২০২৫ চায়, যুক্তরাষ্ট্র “তার পারমাণু অস্ত্রাগারকে আধুনিকীকরণ, অভিযোজিত এবং প্রসারিত করুক”।

মিলার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের যত পারমাণবিক সক্ষমতা এবং অবকাঠামো রয়েছে তা সেই স্নায়ুযুদ্ধকালীন এবং সেগুলোর প্রতিস্থাপন বা আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।”

প্রকল্পের অধীনে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়বে। “আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সেন্টিনেলের উন্নয়ন এবং উৎপাদন” ত্বরান্বিত হবে।

প্রকল্পটি নেভাদা ন্যাশনাল সিকিউরিটি সাইটে পারমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গেও জড়িত থাকবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ।

আন্তর্জাতিক সাহায্য কমানো : হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মার্গারেট থ্যাচার সেন্টার ফর ফ্রিডম-এর জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো ম্যাক্স প্রাইমোরাক ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে আনার পরামর্শ দেন।

তার অভিযোগ, “বাইডেন প্রশাসন সংস্থাটিকে বিকৃত করে এমন একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে, যা বিভিন্ন দেশে বিভাজনমূলক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। এছাড়া গর্ভপাত, জলবায়ু চরমপন্থা, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার নামে পুরুষ বিদ্বেষ এবং কল্পিত বা অমূলক পদ্ধতিগত বর্ণবাদের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ উৎসাহিত করে।”

প্রকল্পটিতে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা এবং গর্ভপাতের অধিকারকে বিশেষভাবে ভীতিজনক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

প্রাইমোরাক যুক্তি দেন, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য ইউএসএইড যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে তা অনেক দেশেরই সমাজের ঐতিহ্যগত নিয়মের বিরুদ্ধে যায়। এতে সেসব সমাজের মানুষদের মধ্যে ‘বিরক্তি’ সৃষ্টি হয়। কারণ শুধু ‘জীবন ধারনের জন্য সহায়তা’ পাওয়ার বিনিময়ে তাদের নিজস্ব ‘যৌনতা সম্পর্কিত মৌলিক মূল্যবোধগুলোকে ত্যাগ করতে হয়।

তার অভিযোগ, লিঙ্গ সমতার দাবি ‘পুরুষদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ’ তৈরি করে। এছাড়া যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং প্রজনন অধিকার, লিঙ্গ সমতা, এবং নারীর ক্ষমতায়ন এসবের আড়ালে স্বেচ্ছাচারিতামূলক গর্ভপাতকে উৎসাহিত করা হয়।

প্রকল্প-২০২৫ সমস্ত বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগগুলোকে ‘বিলুপ্ত’ করতে চায়, যেগুলোকে এটি ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে দেখে।

এছাড়া লিঙ্গ সমতা, গর্ভপাতের অধিকার, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং যৌন ও প্রজনন অধিকার বিষয়ক সব ধরনের কর্মসূচি থেকে ইউএসএইডকে বের করে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ নীতির ক্ষেত্রে প্রকল্পের পরামর্শ

ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি নথিপত্রবিহীন অভিবাসীকে বহিষ্কার এবং অঙ্গরাজ্যগুলোকে শিক্ষার উপর আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন। প্রকল্প-২০২৫ একই ধরনের পরামর্শ দেয়। এছাড়া এলজিবিটিকিউ অধিকারের মতো বিষয়ে প্রগতিশীল উদ্যোগগুলোকেও সীমিত করতে চায়।

তবে কিছু বিষয়ে এটি ট্রাম্পের চেয়েও বেশি কট্টর। যেমন, এতে পর্নোগ্রাফি এবং মিফেপ্রিস্টোন নামের গর্ভপাতের বড়ি নিষিদ্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডাকযোগে গর্ভপাতের বড়ি সরবরাহ বা বিতরণকারীকেও বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়।

প্রকল্প-২০২৫ “আমেরিকান জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিবারের ভুমিকা পুনরুদ্ধার এবং শিশুদের রক্ষার” প্রতিশ্রুতি দেয়।

এতে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়, “গর্বের সঙ্গে বলুন যে, পুরুষ ও নারীর ভিন্নতা একটি জৈবিক বাস্তবতা” এবং “বিবাহিত পুরুষ ও নারীই হল আদর্শ প্রাকৃতিক পারিবারিক কাঠামো”। কারণ প্রতিটি শিশুরই তাদের জন্মদানকারী নারী ও পুরুষ তথা বাবা-মায়ের কাছে বেড়ে ওঠার অধিকার রয়েছে।

বাইডেনের প্রচারাভিযানে টিভি নাটক দ্য হ্যান্ডমেইডস টেল থেকে একটি দৃশ্য এক্সে পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখানো হয় একটি ক্রসের সামনে নারীদের দাঁড় করিয়ে তাদের পরিচয় ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়, “ট্রাম্পের প্রকল্প-২০২৫ এর অধীনে ফোর্থ জুলাই”।

গত মাসের শেষদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে পেরে না ওঠায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের যোগ্যতা নিয়ে এমনিতেই উদ্বেগে জর্জরিত ডেমোক্র্যাট শিবির। এর মধ্যেই তারা প্রকল্প-২০২৫-কে ট্রাম্পের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করেছে।

প্রকল্প-২০২৫ ও ট্রাম্প

ট্রাম্প বলেছেন, তার সঙ্গে প্রকল্প-২০২৫ এর কোনও সম্পর্ক নেই।

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করেছেন, “আমি জানি না এর পেছনে কে আছে। তাদের দেওয়া অনেক পরামর্শের সঙ্গেই আমি একমত নই। তাদের কিছু কথা একেবারেই হাস্যকর ও ভয়ঙ্কর।”

প্রকল্প-২০২৫ থেকে ট্রাম্প নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলেও এর সঙ্গে জড়িত কিছু লোকের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে।

সাংবাদিক জুড লেগুম জানান, প্রকল্প প্রস্তাবটি লেখা বা সম্পাদনায় কাজ করা ৩৮ জনের মধ্যে ৩১ জন ট্রাম্পের প্রশাসন বা ২০১৬ সালে ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমে কাজ করেছেন।

প্রকল্পটির পরিচালক পল ড্যানস ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের চিফ অব স্টাফ ছিলেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের হোয়াইট হাউস প্রেসিডেন্সিয়াল পার্সোনেল অফিসের প্রাক্তন পরিচালক জন ম্যাকএনটি এই প্রকল্পের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।

এছাড়া প্রকল্পের অংশীদারদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রচারে গযুক্ত বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় রক্ষণশীল গোষ্ঠীও রয়েছে। যেমন, টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ, রাস ভট পরিচালিত দ্য সেন্টার ফর রিনিউডয়িং আমেরিকা, ট্রাম্পের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের প্রাক্তন পরিচালক এবং সাবেক প্রেসিডেন্টের অভিবাসন উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকা লিগ্যাল ফার্স্ট।

প্রকল্পটিতে অবদান রাখা অনেকে সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ থাকার কথা বলেছেন।

ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশভিলে ধর্মীয় সম্প্রচারকদের এক সমাবেশে ড্যানস বলেছিলেন যে, তিনি দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনে কাজ করতে চান।

ম্যাকএনটি ডেইলি ওয়্যারকে বলেছেন, ট্রাম্প তার ট্রানজিশন টিম ঘোষণা করার পর প্রকল্প-২০২৫ ট্রাম্পের প্রচারের সঙ্গে তার অনেক কাজকে একীভূত করবে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা ও সিএনএন

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত