Beta
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

প্রথম দিনে কী কী নির্বাহী আদেশ দিলেন ট্রাম্প

Trump Sign
[publishpress_authors_box]

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে নির্বাচনী প্রচারের কাজে একবার ফক্স নিউজে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চ্যানেলটির সঞ্চালক শন হ্যানিটিকে তিনি বলেছিলেন, “আমি একমাত্র ‘প্রথম দিন’ স্বৈরাচার হব এবং নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে মেক্সিকোর সঙ্গে দক্ষিণ সীমান্ত বন্ধ ও তেল খনন বৃদ্ধি করব। এরপর আমি আর স্বৈরাচার থাকব না “

সেই কথারই প্রতিফলন দেখা গেল সোমবার হোয়াইট হাউজে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্টে হিসেবে শপথ নিয়েও একে একে শতাধিক নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এর মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের কিছু নির্বাহী আদেশ বাতিল করা ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার মতো বিষয়ও আছে।

সোমবার নির্বাহী আদেশগুলো যেভাবে দেওয়া হচ্ছিল, তা একদিকে ছিল চমকে দেওয়ার মতো, অন্যদিকে আতঙ্কও সৃষ্টি হয়েছিল। ট্রাম্প তার শপথ গ্রহণের ভাষণে বলেন, “এসব আদেশ আমেরিকাকে পুনরুদ্ধার করবে।”

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল

আদেশ : অভিবাসনকেন্দ্রিক বেশ কিছু আদেশের সঙ্গে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের সন্তানদের জন্য স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব বাতিল করার পরিকল্পনা করেছেন। এটি আজ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে শুরু হবে।

ট্রাম্প বলেন : যদি কোনও ব্যক্তির ‘মা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে উপস্থিত থাকেন এবং বাবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তাহলে সেই ব্যক্তির জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হবে।”

মর্মার্থ : যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি দেশটির সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী দ্বারা সুরক্ষিত। তাই এটি বাতিল করার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক আইনি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে প্রত্যাহার

আদেশ : ট্রাম্প একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে বের হয়ে যায়।

ট্রাম্প বলেন : “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের ঠকিয়েছে, সবাই যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকায়। এটা আর ঘটবে না।” তিনি ডব্লিউএইচওর বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ মহামারি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংকট ভুলভাবে পরিচালনা করার অভিযোগ করেন।

মর্মার্থ : যুক্তরাষ্ট্র ১২ মাসের মধ্যে ডব্লিউএইচও থেকে বের হয়ে যাবে এবং সংস্থাটিকে দেওয়া সব আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করবে। যুক্তরাষ্ট্র হলো জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার সবচেয়ে বড় অর্থদাতা।

গালফ অব মেক্সিকোর নাম পরিবর্তন

আদেশ : ট্রাম্প দুটি নাম পরিবর্তনের আদেশ দিয়েছেন: গালফ অব মেক্সিকো ও আলাস্কার মাউন্ট ডেনালি।

ট্রাম্প বলেন : “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরকারে সাধারণ বোধ নিয়ে আসছেন এবং আমেরিকার সভ্যতার স্তম্ভগুলো পুনরুজ্জীবিত  করছেন।”

মর্মার্থ : ট্রাম্প গালফ অব মেক্সিকোর নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এই মাসের শুরুতে এক প্রেস কনফারেন্সে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি আলাস্কার মাউন্ট ডেনালির নাম পাল্টে রেখেছেন মাউন্ট ম্যাকিনলি। ম্যাকিনলি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান এই নেতা দায়িত্ব পালনের মধ্যেই ১৯০১ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ডেনালি নামটি ২০১৫ সালে তৎকালীন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দিয়েছিলেন আলাস্কার আদিবাসী ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহৃত নামগুলোর ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।

ইলেকট্রিক যানবাহনের লক্ষ্যমাত্রা বাতিল

আদেশ : ট্রাম্প বাইডেন স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। ওই আদেশের লক্ষ্য ছিল ২০৩০ সালে বিক্রি হওয়া নতুন গাড়ির অর্ধেক ইলেকট্রিক করা।

ট্রাম্প বলেন : “যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের শিল্প ধ্বংস করবে না। চীন নির্বিঘ্নে দূষণ ঘটাচ্ছে।”

মর্মার্থ : বাইডেনের পরিবেশ রক্ষা সম্পর্কিত নিয়মগুলো বাতিলের চেষ্টা হিসেবে, ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের গত বসন্তে গড়ে তোলা গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণের নিয়মগুলো পরিবর্তন করার কথা বলেছেন।

ফেডারেল কর্মচারীদের পুনঃশ্রেণিবদ্ধ করা

আদেশ : ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারীকে রাজনৈতিক নিয়োগ হিসেবে পুনঃশ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যাতে তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা সহজ হয়।

ট্রাম্প বলেন : প্রেসিডেন্টের সহকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপক ছাঁটাইকে ‘প্রশাসনিক’ বা ‘ডিপ স্টেট’ এর বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে প্রচার করে আসছেন।

মর্মার্থ : ট্রাম্প কার্যত ‘স্কেজিউল এফ’ পুনর্বহাল করেছেন, যা তিনি তার প্রথম মেয়াদের শেষ বছরে একটি নির্বাহী আদেশ হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলেন। এর মাধ্যমে লক্ষাধিক ফেডারেল কর্মচারীকে পুনঃশ্রেণিবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। (বাইডেন এই আদেশ বাতিল করেছিলেন।)

ট্রাম্পের প্রধান সহকারীরা সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের দাবি করেছেন। প্রকল্প ২০২৫-এ ডিপ বা প্রশাসনিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আক্রমণকে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের মূল লক্ষ্য হিসেবে রাখা হয়েছিল। ওই ডানপন্থী কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, রাজনৈতিকভাবে অস্বাভাবিক বিবেচিত নাগরিক কর্মচারীদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করে তাদের জায়গায় রক্ষণশীলদের নিয়োগ করা হবে।

জাতীয় জ্বালানি সংকট ঘোষণা

আদেশ : ট্রাম্প জাতীয় জ্বালানি সংকট ঘোষণা করেছেন। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির পক্ষে নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের অংশ। এর মধ্যে আলাস্কায় তেল খনন সম্পর্কিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া এবং গ্যাস রপ্তানির উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করাও ছিল।

ট্রাম্প বলেন : “এই আদেশের মানে হলো, আপনি যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন ওই সমস্যায় থেকে বের হতে। আমাদের এমন সংকট রয়েছে।”

মর্মার্থ : এই ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনকে নতুন জীবাশ্ম জ্বালানি অবকাঠামো নির্মাণের জন্য দ্রুত অনুমোদন পেতে সাহায্য করবে। এটি জলবায়ু নীতিমালা পুনর্বিবেচনার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। এটি আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।

মাত্র দুটি লিঙ্গ স্বীকৃতি দেওয়ার নীতি

আদেশ : ট্রাম্প ফেডারেল সরকারী যোগাযোগ, নীতিমালা ও ফর্ম থেকে ‘লিঙ্গ ধারণা নির্দেশিকা’ সরাতে আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশে এটিকে অফিসিয়াল নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে যে, ‘পুরুষ ও নারী ছাড়া অন্য কোনো লিঙ্গ নেই।’

ট্রাম্প বলেন : “লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য রোধের আইন বাস্তবায়নের সময় এজেন্সিগুলো আর এমন ভান করবে না যে, পুরুষরা নারী হতে পারে এবং নারীরা পুরুষ হতে পারে।”

মর্মার্থ : এই আদেশটি বাইডেন যুগের একটি নির্বাহী আদেশ পরিবর্তন করে, যা লিঙ্গ পরিচয়ের স্বীকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।

টিকটক নিষেধাজ্ঞা স্থগিত

আদেশ : ট্রাম্পের আদেশে টিকটকের ওপর ফেডারেল নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন অন্তত ৭৫ দিনের জন্য স্থগিত করা করেছে।

ট্রাম্প বলেন : নিউ ইয়র্ক টাইমস অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি মনে করি, টিকটকের প্রতি আমার এখন একটু বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে, যা আগে ছিল না।”

মর্মার্থ : ট্রাম্প তার অ্যাটর্নি জেনারেলকে টিকটক বিক্রির জন্য আইন বাস্তবায়ন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ রক্ষা করতে ও জনপ্রিয় অ্যাপটি হঠাৎ বন্ধ না করার জন্য একটি ‘যথার্থ পথ’ নির্ধারণ করা যায়। তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। টিকটকে তার নিজস্ব জনপ্রিয়তা অন্যতম কারণ।

বাইডেন জামানার ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল

আদেশ : ট্রাম্প বাইডেন জামানার ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত এক ডজন পদক্ষেপ রয়েছে যা জাতিগত সাম্য এবং সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডার মানুষের বিরুদ্ধে বৈষম্য রোধে সহায়তা করেছিল।

ট্রাম্প বলেন : “আমি পূর্ববর্তী প্রশাসনের প্রায় ৮০টি ক্ষতিকর ও চরমপন্থী নির্বাহী আদেশ বাতিল করব। আমি বর্ণান্ধ ও মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পক্ষে।”

মর্মার্থ : এই আদেশগুলো বাইডেনের নীতির বিপরীত, যেটি ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিভিন্নতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। ট্রাম্প বাইডেনের কিছু আদেশ বাতিল করেছেন, যেগুলো হতাশাগ্রস্ত গোষ্ঠীগুলোর জন্য জাতিগত সাম্য এবং লিঙ্গ বা যৌন পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ছিল।

জাতীয় সীমান্ত সংকট ঘোষণা

আদেশ : ট্রাম্প হোয়াইট হাউজেএকটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে সংকট ঘোষণা করা হয়েছে। এর সঙ্গে কয়েকটি অভিবাসন সম্পর্কিত নীতিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ট্রাম্প বলেন : “সব অবৈধ প্রবেশ অবিলম্বে বন্ধ করা হবে। আমরা লক্ষ লক্ষ অপরাধী বিদেশিদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করব।”

মর্মার্থ : এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের দক্ষিণ সীমান্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের জন্য ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা হচ্ছে। তবে এই অভিবাসন পদক্ষেপগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য কম রয়েছে। এগুলো আইনি ও কার্যকরী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।

ক্যাপিটলে হামলাকারীদের ক্ষমা

আদেশ : সেবার ভোটের ফল মেনে না নিয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি ৬ তারিখে ক্যাপিটল ভবনে হামলা করা অপরাধীদের ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বিচার বিভাগকে চলমান মামলাগুলো বন্ধ করতে নির্দেশ দেবেন।

ট্রাম্প বলেন : “আমি জানুয়ারি ৬ এর ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া লোকদের জন্য ক্ষমার দলিলে সই করব তাদের মুক্ত করতে। আমরা অনেক লোকের জন্য সই করব, অনেক লোকের।” তিনি ক্যাপিটল ভবনে হামলায় যুক্ত প্রায় ১,৫০০ জন অপরাধীকে ক্ষমা করেছেন এবং ছয়টি সাজা কমিয়েছেন।

মর্মার্থ : ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে ক্যাপিটলে হামলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রচারের সময় তিনি অনেকবার ওয়াশিংটন ডিসির এক কারাগারের বন্দীদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার দৃশ্যটি দেখিয়েছেন।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার

আদেশ : ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার ঘোষণা দেন এবং এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জাতিসংঘকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেন।

ট্রাম্প বলেন : “আমি অবিলম্বে এই অন্যায্য, একপক্ষীয় প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছি।”

মর্মার্থ : ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান। ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেন আবার যোগ দেন। প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে আসা, ট্রাম্পের বৃহত্তর প্রচেষ্টার একটি অংশ, যা তিনি জলবায়ু সুরক্ষা এবং নীতি ফিরিয়ে আনার জন্য করছেন। ট্রাম্প বাইডেনের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি খাতে উন্নতি করার প্রচেষ্টাকে ‘দ্য গ্রিন নিউ স্ক্যাম’ বলে বর্ণনা করেছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত