সামনে ভোট, প্রার্থী হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারেই বেশি সময় দেওয়ার কথা; কিন্তু তাকে নিয়মিত আদালতেও হাজিরা দিতে হচ্ছে।
পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ঘুষ দিয়ে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চলছে এই মামলা। প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ গত রবিবার শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে মামলাটি এর চুড়ান্ত ধাপে প্রবেশ করেছে।
মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক শুনানি হবে। তারপর বিচারকরা আলোচনা করে ট্রাম্পকে অপরাধী সাব্যস্ত করার বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই হবে আদালতে ক্ষমতাসীন বা সাবেক কোনও প্রেসিডেন্টের ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা। এছাড়া ট্রাম্প হবেন একজন অপরাধী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বড় কোনও দলের প্রথম প্রার্থী।
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়বেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মামলায় ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে দেওয়া ঘুষের অর্থ সংক্রান্ত।
ওই পর্ন তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক ছিল। সেবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তা গোপন রাখার জন্যই ট্রাম্প ওই পর্ন তারকাকে বিশাল অঙ্কের ঘুষ দেন। স্টর্মিকে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ঘুষ বাবদ অর্থ খরচের বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ।
ট্রাম্প অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তার দাবি, তিনি যে অভিযোগগুলোর মুখোমুখি হচ্ছেন, তা ফৌজদারি অপরাধমূলক নয়।
এটা সত্য যে, যৌন সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য পর্ন তারকাকে ট্রাম্প যেভাবে অর্থ দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে তা কোনও অপরাধ নয়।
তবে সেই অর্থ প্রদানের বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তিনি তার ব্যবসায়িক রেকর্ডে যেসব জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, সেগুলো ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
এছাড়া তথ্য গোপন রেখে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অভিযোগও বেশ গুরুতর।
দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্প কী সাজা পেতে পারেন
ট্রাম্প এখন জামিনে মুক্ত রয়েছেন। রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে বিচারক হুয়ান মার্চান সাজার শুনানির সময় নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ট্রাম্প একজন মুক্ত মানুষ হিসেবেই আদালত ত্যাগ করতে পারবেন।
ট্রাম্পকে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকদেরকে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে, ট্রাম্পের বয়স, আগে কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়া এবং সম্ভবত ট্রাম্পের আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো।
শাস্তির মধ্যে জরিমানা, প্রবেশন অথবা কারাদণ্ড হতে পারে। দোষী সাব্যস্ত হলে প্রতিটি অভিযোগে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চার বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে। তবে শুধু জরিমানা বা প্রবেশনের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদি একাধিক কারাদণ্ডের সাজা হয়, তাহলে বিচারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন যে, সেগুলো একযোগে চলবে নাকি পরপর চলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মামলার পর থেকে ট্রাম্পের মন্তব্য এবং আচরণের কারণে তাকে হয়ত কিছু সময় কারাগারে কাটাতেও হতে পারে। আদালত তাকে সেসব করা থেকে বিরত থাকার জন্য গ্যাগ আদেশ দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্রুস ফেইন বলেছিলেন, “এই ধরনের মামলায় সাধারণত, আসামি কতটা অনুতপ্ত, তার ওপর ভিত্তি করে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আমি মনে করি, তাকে যদি দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তাহলে তার চরিত্রের কারণেই তাকে হয়ত অন্তত কিছু সময়ের জন্য কারাগারে পাঠানো হতে পারে।”
ট্রাম্প অবশ্য নিশ্চিতভাবেই আদালতের যে কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন, যাতে তার সাজা আরও কয়েক মাস বা আরও বেশি সময়ের জন্যও পিঁছিয়ে যেতে পারে। ফলে তাকে কারাগারে পাঠাতে বেশ দেরি হতে পারে।
আপিলের ভিত্তি কী হবে
পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাক্ষ্য ট্রাম্পের আপিলের একটি ভিত্তি হতে পারে, যার সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই এই মামলা।
নিউইয়র্ক ল স্কুলের অধ্যাপক আনা কমিনস্কি বলেন, “স্টর্মি ড্যানিয়েলস যেভাবে ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, তা আসলে মামলার সাক্ষ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল না।
“একদিকে, তার বিশদ বিবরণ তাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে এবং একজন আইনজীবীও তাই চান, যাতে তা বিচারককে বিশ্বাস করানো যায়। অন্যদিকে, এর একটি সীমাও আছে, যেখানে এটি অপ্রাসঙ্গিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে উঠতে পারে।
“ট্রাম্পের আইনজীবিরা ড্যানিয়েলসের সাক্ষ্যের সময় দুবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কিন্তু বিচারকরা তাদের সেই অভিযোগ আমলে নেননি।”
এ ছাড়া জেলা অ্যাটর্নির গৃহীত অভিনব আইনি কৌশলও ট্রাম্পের আপিলের জন্য একটি ভিত্তি হতে পারে।
মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকাকে অর্থ প্রদানের বিষয়টি গোপন করার জন্য ব্যবসায়িক রেকর্ডে জালিয়াতি হয়তো তেমন কোনও বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি বেশ গুরুতর।
তবে অনেক আইন বিশেষজ্ঞের মতে, সুনির্দিষ্টভাবে কোন আইনটি ভঙ্গ করা হয়েছে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতার কারণে ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন।
ট্রাম্প কি জেলে যেতে পারেন
এটা সম্ভব, যদিও এর সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ ট্রাম্প যে ৩৪টি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন তার সবগুলো নিউ ইয়র্কে ‘ই’ শ্রেণীর অপরাধ, যা রাজ্যটির অপরাধের সর্বনিম্ন স্তর। প্রতিটি অভিযোগে সর্বোচ্চ চার বছর কারাদণ্ড দেওয়া সম্ভব।
তবে ট্রাম্পের বয়স, আগে কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়া এবং অভিযোগগুলো অহিংস অপরাধ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বিচারক মার্চান আরও কম শাস্তি বেছে নিতে পারেন।
বিচারকরা মামলাটির নজিরবিহীন প্রকৃতির বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে পারেন। ফলে বিচারকরা সম্ভবত একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে কারাগারে পাঠানোর পদক্ষেপটি এড়োনোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
এ ছাড়া একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে কারাগারে রাখাটাও বেশ ঝামেলার। যুক্তরাষ্ট্রের সকল সবেক প্রেসিডেন্টদের মতো ট্রাম্পও দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ থেকে আজীবন সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। তার মানে ট্রাম্প কারাগারে গেলে নিরাপত্তার জন্য কিছু গোয়েন্দা এজেন্টকেও তার সঙ্গে কারাগারে থাকতে হবে।
এমনকি সেটাও যদি সম্ভব হয় তবুও একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে বন্দী হিসাবে কারাগারে রাখাটা অত্যন্ত কঠিন হবে। কারণ নিরাপত্তার দিক থেকে তা বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ব্যয়বহুলও।
জেল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হোয়াইট কলার অ্যাডভাইসের পরিচালক জাস্টিন পেপার্নি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার ব্যবস্থা দুটি বিষয়ের প্রতি যত্নশীল- প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং খরচ কম রাখা।
“কিন্তু একজন প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে বিশাল পরিমাণ বাড়তি ব্যয় এবং শ্রম ব্যয় হবে তা কোনও কারাগারই করতে রাজি হবে না।”
দোষী সাব্যস্ত হলে কি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন
হ্যাঁ। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে পারবেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য খুব বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা আছে, ৩৫ বছর বয়সী, প্রাকৃতিকভাবে জন্মগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং কমপক্ষে ১৪ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী যে কোনও ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন। অতীতে অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা কোনও প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার কোনও নিয়মও যুক্তরাষ্ট্রে নেই।
জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান ভোটারদেরও বেশিরভাগই ট্রাম্পকে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সমর্থন করবে, এমনকি যদি তিনি অপরাধের জন্য দোষীও সাব্যস্ত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে অন্তত দুজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অতীতে অপরাধের রেকর্ড ছিল। যদিও তারা বড় কোনও দলের প্রার্থী ছিলেন না এবং নির্বাচনে সাফল্যও পাননি।
প্রায় ১০০ বছর আগে ইউজিন ডেবস নামের এক প্রার্থী সমাজতান্ত্রিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আটলান্টার একটি ফেডারেল কারাগারে থাকাকালীন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়েছিলেন। এবং কোনও প্রচারণা ছাড়াই প্রায় ১০ লাখ ভোট পেয়েছিলেন। আরেকজন দোষী সাব্যস্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন লিন্ডন লারুচে, যিনি ১৯৭৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জেলে থেকে প্রচার চালিয়ে ২৬ হাজার ভোটও পেয়েছিলেন।
তবে, অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, প্রকৃতই দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্প নির্বাচনে বড় ধরনের ক্ষতির শিকারও হতে পারেন।
এ বছরের শুরুর দিকে ব্লুমবার্গ ও মর্নিং কনসাল্টের একটি জরিপে দেখা গেছে, দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ৫৩ শতাংশ ভোটার ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে আর ভোট দেবে না।
চলতি মাসে কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলে রিপাবলিকান পার্টির ভোটারদের মধ্যেও ৬ শতাংশ তাকে ভোট নাও দিতে পারে। এই সংখ্যা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হেরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
প্রেসিডেন্ট হলে ট্রাম্প কি নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করতে পারবেন
না। প্রেসিডেন্টরা শুধু ফেডারেল অপরাধে ক্ষমার আদেশ জারি করতে পারেন। কিন্তু নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটি একটি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রীয় বিষয়। তার মানে আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হলেও ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করতে পারবেন না।
জর্জিয়ার আদালতে দায়ের করা মামলার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ওই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে জর্জিয়ায় জো বাইডেনের কাছে তার স্বল্প ব্যবধানে পরাজয় উল্টে দেওয়ার জন্য অপরাধমূলকভাবে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে আপিলে আটকে আছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা দুটি ফেডারেল মামলায়ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমার ক্ষমতা অস্পষ্ট। ওই দুটি মামলার একটি রাষ্ট্রীয় গোপন নথির কথিত অপব্যবহার সংক্রান্ত এবং অন্যটি ২০২০ সালের নির্বাচনকে উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে।
প্রথম মামলাটিতে ফ্লোরিডায় ট্রাম্প-নিযুক্ত বিচারক অনির্দিষ্টকালের জন্য মামলার বিচার স্থগিত করেছেন। বিচারকের যুক্তি হল, মামলার প্রমাণগুলো সম্পর্কে যেসব প্রশ্ন উঠেছে সেগুলোর সমাধান করার আগে বিচারের তারিখ নির্ধারণ করা হবে ‘হঠকারিতা’। দ্বিতীয় ফেডারেল মামলাটিও ট্রাম্পের আপিল কার্যকর হওযায় বিলম্বিত হয়।
দুটি মামলার কোনটিতেই নভেম্বরের নির্বাচনের আগে রায় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে যদি নির্বাচনের আগেই রায় হয়ে যায়, তাহলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে নিজেকে মামলাগুলো থেকে খালাস দেওয়ার আদেশ দিতে পারবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্টের সেই ক্ষমতা আছে কিনা তা নিয়ে সাংবিধানিক পণ্ডিতদের মধ্যেও দ্বিমত রয়েছে। তবে ট্রাম্প হয়তো সেই চেষ্টা করতে পারেন। যার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন চেষ্টা চালানো প্রথম প্রেসিডেন্ট হবেন ট্রাম্প।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা