যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি কোনও ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সেই অপরাধের দায়সহ আরও তিনটি ফৌজদারি মামলা মাথায় নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
দোষী সাব্যস্ত হওয়া মামলায় তার সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৬ নভেম্বর। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ট্রাম্পের সাজা নাও হতে পারে। বা সাজা হলেও তিনি বিচার বিভাগকে দিয়ে বা তার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বলে নিজেকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।
২০০৬ সালে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গোপন রাখতে ট্রাম্প তাকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেন। ওই খরচের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যবসায়িক নথিতে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সেই মামলায়ই ৩৪টি অপরাধে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় গোপন নথির অপব্যবহার এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ফেডারেল ও রাজ্য আদালতে তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে।
এখন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ফেডারেল মামলাগুলো থেকে তাকে খালাস দেওয়া হতে পারে। আর রাজ্য আদালতের মামলাগুলো তিনি যতদিন প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততদিন স্থগিত রাখা হতে পারে।
নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা ও গোপন নথি সংক্রান্ত মামলা
বিচার বিভাগের বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ ফেডারেল আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন। প্রথমটি ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে, আর দ্বিতীয়টি তার মার-এ-লাগো এস্টেটের বাসভবনে পাওয়া রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সংক্রান্ত।
প্রথম মামলটি ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে চলছিল। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প নিজের পরাজয় মেনে নিতে পারেননি। এজন্য তিনি ভোট চুরি এবং নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ করে ৬০টিরও বেশি মামলা করেছিলেন। তবে আদালত সেসব খারিজ করে দেয়।
এভাবে ভিত্তিহীন মামলা করায় তার বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ আনেন ডেমোক্র্যাটরা। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনের ফল মেনে নিতে ট্রাম্পের অস্বীকৃতিই তার সমর্থকদের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি পার্লামেন্ট ভবনে হামলায় প্ররোচিত করেছিল।
তবে গত জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে বলেছে, ট্রাম্প যেহেতু সেসময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে বিচার করা যাবে না। কারণ তিনি আইনি প্রক্রিয়াতেই নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এ ছাড়া পার্লামেন্ট ভবনে হামলার জন্য ট্রাম্প কখনও তার সমর্থকদের সরাসরি আদেশ দেননি।
জ্যাক স্মিথ অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও হাল ছাড়েননি। ফলে গত ২৮ অক্টোবর আদালত ট্রাম্পকে আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে মামলাটি খারিজের যৌক্তিকতা ব্যখ্যা করে মোশন দাখিল করার আদেশ দেয়।
দ্বিতীয় মামলাটি ফ্লোরিডার ফেডারেল আদালতের একজন বিচারক খারিজ করে দিলেও বিচার বিভাগ সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। সেটিরও কার্যক্রম শুরু কথা ছিল নির্বাচনের পর।
তবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে ট্রাম্প এখন ফেডারেল আদালতের এই মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য বিচার বিভাগকে চাপ দিতে পারবেন। রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসাবে তিনি বিচার বিভাগেরও তত্ত্বাবধান করবেন। আর বিচার বিভাগও নীতিগতভাবে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও মামলা পরিচালনা করতে পারে না।
এ ছাড়া ট্রাম্প একজন নতুন অ্যাটর্নি-জেনারেল নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতাও পাবেন। এবিসি নিউজের প্রতিবেদন মতে, এই পদের জন্য একজন প্রার্থী হলেন আইলিন ক্যানন, যিনি ট্রাম্পের গোপন নথির মামলাটি খারিজ করেছিলেন।
নির্বাচনের আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন- প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি জ্যাক স্মিথকে দুই মিনিটে বরখাস্ত এবং দেশছাড়া করবেন। নতুন অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিশ্চয় ট্রাম্প জ্যাককে সরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেবেন। জ্যাককে সরিয়ে দিলে দুটি মামলার কার্যক্রমই স্থগিত হয়ে যাবে। এরপর ট্রাম্প নিয়ন্ত্রিত বিচার বিভাগ তাকে মামলাগুলো থেকে পুরোপুরি দায়মুক্তি দিতে পারে।
২০২৩ সালে মামলাগুলো দায়ের হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের প্রধান আইনি কৌশল ছিল নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিচার বিলম্বিত করা, যাতে নির্বাচিত হলে তিনি স্মিথকে বরখাস্ত করতে পারেন এবং মামলাগুলোরও সমাপ্তি ঘটে।
তবে আগামী ২০ জানুয়ারির আগে স্মিথকে সরাতে পারছেন না ট্রাম্প। এর মধ্যে স্মিথ সম্ভাব্য সব উপায়ে ট্রাম্পকে বিচারের মুখোমুখি করানোর চেষ্টা করবেন। যদিও তা বেশ কঠিন হবে।
জর্জিয়ার আদালতেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। ওই মামলায় ট্রাম্পের সঙ্গে আরও ডজনখানেক রিপাবলিকানকে আসামি করা হয়।
তবে ফ্যানি উইলিস নামে যে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মামলাটি এনেছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি ওই মামলার বিচারকার্যে এমন একজন অ্যাটর্নিকে নিয়োগ দিয়েছেন যার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। এতে তাকে মামলাটি পরিচালনায় অযোগ্য ঘোষণার আবেদন জানান ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ক্লার্ক কানিংহাম মনে করেন, জর্জিয়ার মামলা থেকেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়মুক্তি পেতে পারেন। এজন্য ট্রাম্প জর্জিয়ার মামলাটি থামানোর জন্য বিচার বিভাগকে ফেডারেল আদালতে একটি মামলা দায়ের করতে বলতে পারেন, যা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছানোর দ্রুততম উপায়ও হবে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেবে, সাবেক প্রেসিডেন্টরা তাদের অফিসিয়াল কাজের জন্য ফৌজদারি মামলা থেকে মুক্ত।
পর্ন তারকাকে ঘুষ সংক্রান্ত মামলা
মামলাটি যেহেতু রাজ্য আদালতের এবং এতে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়ে গেছে, তাই মামলাটি খারিজ করা কঠিন হবে। আগামী ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তবে এই মামলায়ও ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়মুক্তি দেওয়া যায় কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধান বিচারক জুয়ান মার্চান ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। মার্চান যদি তা করেন তবে অভিযোগ খারিজ হয়ে যাবে এবং ট্রাম্পকে শাস্তি দেওয়া হবে না।
কিন্তু প্রধান বিচারক যদি ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার রায় অটুট রাখার সিদ্ধান্ত নেন, তখন আইনজীবীরা তার সাজা বিলম্বিত করার আবেদন করবেন, যাতে তারা আপিল করতে পারেন। যদি তা মঞ্জুর না করা হয়, ট্রাম্পের অ্যাটর্নিরা তখন রাজ্য আপিল আদালতে যাবেন এবং সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্টে সমস্ত আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালতকে ট্রাম্পের সাজা স্থগিত রাখতে আবেদন করবেন, যাতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
এরপরও যদি বিচারক মার্চান ট্রাম্পকে সাজা দিতে চান, তাহলে তাকে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিতে পারেন। তবে ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় কারাদণ্ড না দিয়ে কম সাজাও দিতে পারেন, যেমন প্রবেশন, ঘরবন্দি কারাবাস, কমিউনিট সার্ভিস বা জরিমানা।
কিন্তু ট্রাম্প যেহেতু আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন, তাই যেকোনো সাজাই জটিলতা সৃষ্টি করবে। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পের আইনজীবীরা সাংবিধানিক তর্ক তুলতে পারেন যে, কোনও রাজ্য আদালতের বিচারক একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাজা দিতে পারেন কিনা। আর সেই তর্কের সমাধান হতেই বছরের পর বছর চলে যেতে পারে।
তবে মামলাটি যেহেতু রাজ্য আদালতে, তাই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প চাইলেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না। যেটা ফেডারেল আদালতের বেলায় সম্ভব ছিল।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে থাকাকালে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া সাংবিধানিকভাবে অযৌক্তিক হবে। তাই সম্ভবত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (২০২৯ সাল) পর্যন্ত সাজার রায় স্থগিত রাখা হবে।
জর্জটাউন আইনের অধ্যাপক পল বাটলার বলেন, “এই পয়েন্টেই ট্রাম্প মূলত চারটি মামলায়ই জিতেছেন।”
প্রতারণা মামলা
নিউ ইয়র্কের রাজ্য আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলাও আছে। এটি কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ বেশি দেখানো সংক্রান্ত একটি দেওয়ানি মামলা। ওই মামলায় তাকে ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়। জরিমানার পরিমাণ অনেক বেশি দাবি করে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আপিল করেছেন। তবে মামলাটি বাতিল করতে পারবেন না। মামলাটি চলবে।
লেখিকা ই. জিন কেরলের মামলা
নিউ ইয়র্কের আদালতের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে, যেগুলো করেছেন লেখিকা ই. জিন ক্যারল।
ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে দুটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিলেন, তার একটি ১৯৯০-র দশকে তাকে যৌন হয়রানি ও মানহানির অভিযোগে এবং অন্যটি ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ক্যারলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে তার মানহানির জন্য।
এর মধ্যে দ্বিতীয় অভিযোগে আদালত ট্রাম্পকে ৮৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করে। অবশ্য রায়ের পরপরই ট্রাম্পের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
৬ জানুয়ারির সহিংসতা সংক্রান্ত মামলা
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা ও সহিংসতার জন্য তার বিরুদ্ধে আটটি দেওয়ানি মামলার আবেদন করেছেন ডেমোক্র্যাট অ্যাটর্নিরা। সেসব মামলায়ও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়মুক্তি চেয়েছিলেন।
তবে গত বছর একটি ফেডারেল আদালত মামলাগুলোর কার্যক্রম শুরু করার আদেশ দেন এই বলে যে, ট্রাম্প সেসময় একজন প্রেসিডেন্টের মতো নয় বরং একজন প্রার্থীর মতো আচরণ করেছিলেন।
ট্রাম্প এখন মামলাগুলোতে বিচার বিভাগকে তার পক্ষে কাজে লাগাবেন। এ ছাড়া জর্জিয়ায় তার ফৌজদারি মামলার বিচারের পরে মামলাগুলো আসা উচিৎ বলে যুক্তি দিয়েও তিনি মামলাগুলোর বিচার বিলম্বিত করার চেষ্টা করতে পারেন। এবং এসব মামলায়ও প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়মুক্তি নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
‘নির্দোষ পাঁচ’ এর মামলা
গত মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তথাকথিত সেন্ট্রাল পার্ক ফাইভের সদস্যরা আরেকটি মানহানির মামলা করেন, যারা এখন নিজেদেরকে নির্দোষ পাঁচ বলে আখ্যায়িত করেন।
সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট বিতর্কের সময় ট্রাম্প ভুলভাবে বলেছিলেন, ওই পাঁচজন, যারা কালো এবং ল্যাটিনো, তারা একটি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালে নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে জগিং করার সময় একজন শ্বেতাঙ্গ নারীকে আক্রমণ এবং ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ট্রাম্প বলেন যে, তারা একজন ব্যক্তিকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করেছে, যদিও সেই নারী এখনও জীবিত।
ওই পাঁচজন সেসময় কিশোর ছিলেন, যখন তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তারা বলেছিল যে, পুলিশ তাদের স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে সত্য নয়। কিন্তু বিচারে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন।
তবে ২০০২ সালে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়, যখন ডিএনএ টেস্টে দেখা যায় যে, ওই নারীকে একজন সিরিয়াল ধর্ষক আক্রমণ করেছিল। ওই ধর্ষকও তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছিলেন। পরে তাদের সাজা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলাটি ট্রাম্প কোনোভাবেই বাতিল করতে পারবেন না। কারণ এই মামলার সময় তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন না।
ট্রাম্প কি নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন?
ফেডারেল আদালতের মামলায় দোষী সাব্যস্ত বা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনও প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করেননি। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে এই ধারণাটি চালু করেছিলেন বলে জানা গেছে।
যেকোনো স্ব-ক্ষমা শুধুমাত্র ফেডারেল মামলার ক্ষেত্রে সম্ভব এবং তা চ্যালেঞ্জ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যার অর্থ ট্রাম্পের এই অভূতপূর্ব পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে এবং সেখানেই এর নিষ্পত্তি হতে পারে।
অবশ্য যদি বিচার বিভাগ মামলাগুলো খারিজ করে দেয় তাহলে তার আর এটি করার প্রয়োজন নাও হতে পারে।
রাজ্য আদালতের মামলায় গভর্নর বা অন্যান্য রাজ্য কর্তৃপক্ষ যেমন ‘ক্ষমা বোর্ডে’র ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলের অধ্যাপক আজিজ হকের মতে, একটি অভূতপূর্ব স্ব-ক্ষমার আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তথ্যসূত্র : সিএনএন, হাফিংটন পোস্ট, এনবিসি নিউজ