Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

সম্পর্কে মধু যোগ হয় ১-১-১ ফর্মুলায়

relationship-1111-formula
[publishpress_authors_box]

প্রত্যেকটি সম্পর্ক সুসংহত রাখতে সময় ও মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক যুগে ব্যস্ত জীবনের মাঝে সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হওয়া এক বড় চ্যালেঞ্জ।

সম্পর্ককে নতুন করে সুসংহত করতে এবং স্থায়িত্ব আনতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে ‘১-১-১’ নিয়মটি একটি কার্যকরী পদ্ধতি হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

রিলেশনশিপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিয়মের মাধ্যমে সম্পর্কের গভীরতা বজায় রাখা এবং একে অপরের মধ্যে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি সহজ হয়।

১-১-১ নিয়মের উৎপত্তি

‘১-১-১’ নিয়মটি মূলত সাইকোলজিস্ট এবং রিলেশনশিপ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ থেকে উদ্ভূত একটি পদ্ধতি। যদিও এটি স্পষ্ট নয় কে প্রথম এটির কথা প্রথম বলেছিলেন। তবে ২০১০ সালের পরে এটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিশেষ করে ড. জন গটম্যানের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা এবং ড. সুজান হোয়ার মতো রিলেশনশিপ এক্সপার্টদের পরামর্শ এই ফর্মুলার কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলেছে।

ড. গটম্যানের মতে, সুস্থ সম্পর্কের জন্য নিয়মিত মানসিক সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, ড. গেরি চ্যাপম্যানের ‘দ্য ফাইভ লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ’ বইটি সম্পর্কের মানসিক যোগাযোগের গুরুত্বকে বিশ্লেষণ করে, যেটি ‘১-১-১’ নিয়মের মূল ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

১-১-১ নিয়মের তিনটি স্তম্ভ

প্রতিদিন একবার মনোযোগী আলাপ

প্রতিদিন অন্তত একবার মনোযোগ সহকারে একে অপরের সাথে আলাপ করা এই নিয়মের প্রথম স্তম্ভ। এই আলাপ হতে পারে দিন শেষে একে অপরের অনুভূতি বা চিন্তা নিয়ে। ড. গটম্যানের মতে, “দৈনন্দিন আলাপ সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করে এবং দাম্পত্য সম্পর্ককে স্থায়ী করে তোলে।” (দ্য সেভেন প্রিন্সিপালস ফর মেকিং ম্যারিজ ওয়ার্ক, গটম্যান, ১৯৯৯)। এই প্রক্রিয়াটি দম্পতিদের মানসিক সংযোগ বজায় রাখতে সহায়ক।

সাপ্তাহিক অন্তরঙ্গ সংযোগ

এই পর্যায়ে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানো হয়। এটি হতে পারে একান্ত সময়, একে অপরের সাথে সঙ্গ দেয়া, অথবা বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করা। ড. সুজান হোয়ার মতে, “এই সংযোগ সম্পর্কের মানসিক ও শারীরিক গভীরতা বৃদ্ধি করে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে (দ্য রিলেশনশিপ কিওর, হোয়ার, ২০০১)।”

এছাড়া, শারীরিক ও মানসিক সংযোগ দম্পতিদের একে অপরকে আরও গভীরভাবে বোঝার সুযোগ দেয়।

মাসিক বিশেষ সময় উদযাপন

মাসে অন্তত একবার বিশেষ সময় উদযাপন করার এই অভ্যাসটি সম্পর্কে উষ্ণতা ও উত্তেজনা যোগ করে। এটি হতে পারে ডিনার ডেট, সিনেমা দেখা, অথবা একান্তে সময় কাটানো। ড. গেরি চ্যাপম্যানের মতে, “সম্পর্কে নতুনত্ব আনতে ও একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে বিশেষ উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে (দ্য ফাইভ লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ, চ্যাপম্যান, ১৯৯২)।”

এই নিয়মের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে মনোবিজ্ঞানীদের ইতিবাচক মতামত রয়েছে। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ড. জন গটম্যান বিশ্বাস করেন, “প্রতিদিন একে অপরের সাথে আলাপ সম্পর্কের আবেগগত শক্তিকে সুসংহত করে”।

তার মতে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছোট ছোট আলাপও অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ড. সুজান হোয়ার আরো বলেন, “এই নিয়মটি সম্পর্কের কাঠামো এবং ভারসাম্য রক্ষা করে, এবং এটি সম্পর্কের স্বাভাবিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে সক্ষম।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত