Beta
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

এআই দিয়ে বানানো ‘অল আইজ অন রাফা’ ভাইরাল কেন

All_Eyes_Rafah_1
[publishpress_authors_box]

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ‘অল আইজ অন রাফা’ বা ‘সবার চোখ এখন রাফায়’ লেখা একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে কোটি কোটি আইডির স্টোরিতে শেয়ার করা হয়েছে ছবিটি।

ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা ও এর আশেপাশের এলাকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার একদিন পর গত সোমবার ছবিটি শেয়ার করা হয়। এরপর থেকে ছবিটি ৪ কোটি ৭০ লাখেরও বেশিবার শেয়ার করা হয়ে গেছে।

‘সবার চোখ এখন রাফায়’ কথাটি তিন মাস আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়। সেসময় ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ রাফায় আশ্রয় নিয়েছিল।

ছবিটির বিষয়বস্তু কী? কেনই বা তা এতো ভাইরাল হয়েছে?

ছবিটিতে কী আছে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি করা ছবিটিতে মিশর সীমান্তের কাছে গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফার পরিস্থিতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল উত্তর দিক থেকে বোমাবর্ষণ শুরু করে। এতে সেখানকানর বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়ের জন্য দক্ষিণের রাফা এলাকায় পালিয়ে যায়।

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষকে রাফায় ঠেলে দেওয়া হয়। ইসরায়েল প্রথমে রাফাকে নিরাপদ এলাকা বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে রাফায় হামাসের চারটি ব্রিগেড রয়েছে অভিযোগ করে ইসরায়েল সেখানেও সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়।

ইসরায়েলের ওই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। সেসময় গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড রিক পিপারকর্ন এক বিবৃতিতে বলেন, সবার চোখ এখন রাফায়।

রিচার্ড পিপারকর্নের ওই বিবৃতি থেকেই সম্ভবত ছবির এই কথাটি এসেছে। ফিলিস্তিনিদের জীবন ও বয়ানের ওপর এআই-র প্রভাব নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি-ইরাকি-আমেরিকান শিল্পী ও গবেষক আমিরা কাওয়াশও তাই মনে করেন। কারণ তারপর থেকেই স্লোগানটি প্রতিবাদ পোস্টার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও দেখা যায়।

রাফায় কী হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব বিশ্বসহ প্রায় পুরো বিশ্বের নিষেধ উপেক্ষা করেই গত ৬ মে থেকে ইসরায়েল রাফায় হামলা শুরু করে। প্রথমে বিমান হামলা এরপর ৮ মে থেকে স্থল অভিযানও শুরু করে ইসরায়েল।

গত শুক্রবার (২৪ মে) জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) ইসরায়েলকে রাফায় আগ্রাসন বন্ধের আদেশ দেয়। কিন্তু এর দুদিন পরই রবিবার ইসরায়েলি বোমা হামলায় পশ্চিম রাফাহর আল-মাওয়াসিরের তাল আস-সুলতান এলাকায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। অথচ রাফায় অভিযান শুরুর ওই এলাকাটিকে নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবারের হামলার পর থেকেই ‘অল আইস অন রাফাহ’ ছবিটি ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়।

এরপর মঙ্গলবার রাফাহ শহরের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে আরেকটি ইসরায়েলি হামলায় ২১ জন নিহত হয়। বুধবার সকালে এবং বৃহস্পতিবারও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ৭ অক্টোবর থেকে পুরো গাজায় ইসরায়েল কমপক্ষে ৩৬ হাজার ১৭১ জনকে হত্যা করেছে।

ছবিটি দেখতে কেমন

এআই দিয়ে বানানো ছবিটিতে শরণার্থী শিবিরের তাঁবুর অসংখ্য সারি দেখা যায়। ছবিটির মাঝখানে কিছু হালকা রঙের তাঁবু সাজানো হয়েছে যেগুলো দিয়ে ‘অল আইজ অন রাফা’কথাটি ফুটিয়ে তোলা হয়। ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ডে আছে সাদা মেঘ সহ একটি পরিষ্কার নীল আকাশ।

কিন্তু বাস্তবে রাফার আকাশ এতোটা পরিষ্কার নয়। ইসরায়েলি বোমার ধোঁয়ায় তা ধূসর হয়ে থাকে। আর সেখানকার তাঁবুগুলোও এতোটা সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ অবস্থায় নেই। ইসরায়েলি হামলার পর অনেক তাঁবু থেকেই ধোঁয়া উঠছে এবং চারপাশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

এ ছাড়া ছবির তুলনায় রাফা বাস্তবে আরও বেশি ঘনবসতিপুর্ণ। এলাকাটির আয়তন মাত্র ৬৪ বর্গকিলোমিটার, যেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১৪-১৫ লাখ মানুষ।

আল জাজিরার সনদ ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সি নিশ্চিত করেছে, ছবিটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

পুনরাবৃত্তি, তাঁবুর প্রতিসাম্য সারিবদ্ধতা, বিশদ বিবরণের অভাব এবং ছায়ার অনুপস্থিতি সহ এআই দিয়ে তৈরি করলে যেসব সমস্যা থাকে সেসব রয়েছে ছবিটিতে।

সোমবার রাফা দেখতে যেমন ছিল:

মঙ্গলবার রাফা দেখতে যেমন ছিল:

ছবিটি কারা শেয়ার করেছেন

ছবিটি বিশ্বজুড়ে থাকা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা তাদের স্টোরিতে রিপোস্ট করছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ছবিটি প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখবার শেয়ার করা হয়েছে। অনেক তারকাও ছবিটি শেয়ার করেছেন।

আমেরিকান সুপার মডেল বেলা হাদিদ ছবিটি শেয়ার করেছেন, যার বাবা একজন ফিলিস্তিনি। নেটফ্লিক্স শো ব্রিজারটনের আইরিশ অভিনেত্রী নিকোলা কফলান, আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা ও লেখক হাসান মিনহাজ ও আমেরিকান অভিনেতা অ্যারন পলও তাদের স্টোরিতে ছবিটি পোস্ট করেন।

ব্রিটিশ অভিনেতা ও অ্যাক্টিভিস্ট জামিলা জামিল এবং ব্রিটিশ গায়িকা দোয়া লিপাও ছবিটি শেয়ার করেন।

এছাড়া বরুণ ধাওয়ান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস, আলিয়া ভাট ও কারিনা কাপুর খান, সোনাক্ষী সিনহা, সামান্থা রুথ প্রভু, স্বরা ভাস্কর, দিয়া মির্জা সহ বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতারাও ছবিটি শেয়ার করেছন।

ছবিটি প্রথম শেয়ার করা হয় সোমবার @shahv4012 নামের একটি ইনস্টাগ্রাম আইডির স্টোরিতে। আইডিটির মালিক একজন মালয়েশিয়ান শিল্পী। তিনি নিজেই ছবিটি তৈরি করেছেন। ছবিটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, অনেকেই হয়তো ছবিটি নিয়ে সন্তুষ্ট নাও হতে পারেন। কিন্তু রাফায় যা ঘটছে তা বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে ছবিটি ছড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।

ইনস্টাগ্রাম ছাড়াও ছবিটি এক্সেও (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা হয়েছে।

ছবিটি কেন এত ভাইরাল হয়েছে

রাফা বা গাজার অনেক ছবির চেয়ে এই ছবিটি লোকের বেশি নজর কেড়েছে।

এর একটি কারণ হতে পারে ছবিটি ইনস্টাগ্রামের ‘অ্যাড ইয়োরস’ ফিচারটি ব্যবহার করে শেয়ার করা হচ্ছে। যার ফলে ব্যবহারকারীরা সার্চ ছাড়াই সেকেন্ডের মধ্যে ছবিটি পুনরায় পোস্ট করতে পারে।

আরেকটি কারণ হল ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি কীওয়ার্ডের উপর ভিত্তিতে যেকোন সেন্সরশিপ থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যা এর বিস্ফোরক বিস্তারে সাহায্য করেছে। কাওয়াশ বলেন, “এআই দিয়ে তৈরি টেমপ্লেটটি কীওয়ার্ড সনাক্তকরণ বা টেক্সট-ভিত্তিক সেন্সরশিপ উতরে গেছে বলে মনে হচ্ছে।”

সেলেব্রিটি ও প্রভাবশালীরাও এমন ছবি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন, যাদের মধ্যে অনেকেই এর আগে গাজা যুদ্ধ নিয়ে কোনও কথা বলেননি।

তবে অন্য একটি কারণও থাকতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, গাজার বাস্তব ছবিগুলোর চেয়ে এআই দিয়ে বানানো ছবিটি অনেক দর্শকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে, কারণ এতে রক্ত, মৃতদেহ এবং সহিংসতা নেই।

কাতারের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আবাসিক সহযোগী অধ্যাপক এডি বোর্হেস-রে আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমার বিশ্বাস ছবিটির ভাইরাল হওয়ার মূল কারণ যুদ্ধের বাস্তব ছবির সঙ্গে এর কোনও মিল না থাকা। গাজা ও রাফায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিকতার উদ্রেক করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রায়ই হতাহতদের ও শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের ছবি শেয়ার করেন।

“কিন্ত সেই ছবিগুলোকে মেটার (ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম) মতো প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদমগুলো আটকে দেয়, যেগুলো গ্রাফিক সহিংসতা ফিল্টার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কিন্তু এই ছবিটিকে আটকে দেয়নি, কারণ এতে বাস্তবের যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তা দেখা যায় না। প্ল্যাটফর্মগুলোর কনটেন্ট পলিসির কারণেই এই এআই দিয়ে তৈরি ছবিটি অবাধে ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে এবং এতো দ্রুত ভাইরাল হয়েছে।”

তবে ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া, প্রচারণা ও সামাজিক পরিবর্তনের উপর এমএ কোর্স পরিচালনা করা আনাস্তাসিয়া কাভাদার মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ছবিটি পোস্ট করার সময় এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, এটি এমন এক সময়ে ভাইরাল হয়েছে যখন রাফায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলার খবরে অনেকে ক্ষুব্ধ বোধ করছেন।

ই-মার্কেটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরামর্শদাতা মাহের নামারিও একই কথা বলেন, তিনি খোদ ঘটনাটির প্রকৃতি এবং পরবর্তী অনলাইন মিথষ্ক্রিয়াকে গুরুত্ব দেন।

বিবিসি আরবিকে তিনি বলেন, “রাফায় রবিবারের হামলাটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক শোক সৃষ্টি করেছে।” ওই হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নিজেদের তাবুতে জীবন্ত আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।

ছবিটির প্রতি লোকে কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অনেকে ছবিটির ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি উদযাপন করেছেন। তবে অনেকে আবার এতে ক্ষুব্ধও হয়েছেন।

সমালোচকরা ছবিটি শেয়ার করাকে পারফরমেটিভ অ্যাকটিভিজম বা মেকি তথা লোক দেখানো তৎপরতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। কারণ এতে রাফার বাস্তব চিত্র দেখানো হয়নি, যার ফলে রাফার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

কাওয়াশ বলেন, “ছবিটি ফিলিস্তিনিদের সাক্ষ্য ও জীবন্ত অভিজ্ঞতার বিপরীত। এতে এআই দিয়ে শরণার্থী শিবিরের তাঁবুর সুশৃঙ্খল সারি তৈরি করা হয়েছে। ছবিটির মাঝখানে কিছু হালকা রঙের তাঁবু সাজানো হয়েছে যেগুলো দিয়ে ‘অল আইজ অন রাফা’ কথাটি ফুটিয়ে তোলা হয়। ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ডে আছে সাদা মেঘ সহ একটি পরিষ্কার নীল আকাশ ও তুষারাবৃত পর্বতমালা, যা গাজার বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।

“ছবিটি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, কারণ ফিলিস্তিনিরা কয়েক দশক ধরে বিশ্বকে তাদের দেখতে এবং তাদের বিশ্বাস করতে বলেছে। ফিলিস্তিনিদের জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা এবং সাক্ষ্যকে পরিকল্পিতভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং ইসরায়েলিদের অপপ্রচারে তাদের দুর্দশা চাপা পড়ে গেছে।” এ প্রসঙ্গে তিনি ইসরায়েলের গণ কূটনীতির প্রচেষ্টাগুলোর উল্লেখ করেন, যা পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা প্রচারণামূলক বর্ণনা ব্যবহার করে।

কাওয়াশ বলেন, “গাজায় অনেক ফিলিস্তিনি নাগরিক সাংবাদিক তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস্তব পরিস্থিতির চিত্র তুলে আনেন। কিন্তু এআই দিয়ে তৈরি ছবিটি সেই বাস্তবতাকে ডিজিটাল জগতে মুছে ফেলার অন্য রূপ বলে মনে হতে পারে।”

কেউ কেউ এআই দিয়ে তৈরি ছবিটি শেয়ার না করে আর কী পোস্ট করা যায় সেই পরামর্শও দিয়েছেন।

এর পরে কী

কাওয়াশ বলেন, এটি একটি বড় প্রশ্ন। কারণ রাফায় ইসরায়েলের আক্রমণ দিনদিন তীব্রতর হচ্ছে। এমন সময়ে ছবিটি ভাইরাল হওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ গাজার সংকটের দিকে বিশ্ববাসীর নজর ফিরবে তা ঠিক।

“তবে শুধু এই বার্তাটিই যথেষ্ট নয়। যেমন অনেক ফিলিস্তিনি এবং অধিকার কর্মী উল্লেখ করেছেন, ‘সবার চোখ এখন রাফায়- কিন্তু এরপর কী?’

“বার্তাটিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। অবশ্য, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বানও কোনও কাজ করেনি। তাই এতে এখন ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি দাবিও জানানো উচিৎ।”

কাওয়াশ বলেন, ছবিটির বিস্ফোরক বিস্তার, কীভাবে এআই ছবি সেন্সরশিপ এড়িয়ে ফিলিস্তিনি বয়ান ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে তা এবং এর সীমাবদ্ধতাগুলো, উভয়ই তুলে ধরে।

কাওয়াশ বলেন, “আমি এআই দিয়ে তৈরি ছবির ব্যবহারকারী এবং ভোক্তাদের বলব, কীভাবে এই এআই ছবিগুলো ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সহিংসতার দৃশ্যকে নান্দনিক ও স্বাভাবিক করে তুলছে এবং সেগুলোকে আরও হজমযোগ্য এবং নিরাপদ করে তুলছে, তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে।”

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত